বিজ্ঞাপন

‘গোপালগঞ্জের ভিসির পদত্যাগপত্র পেয়েছি, প্রক্রিয়া চলছে’

September 30, 2019 | 6:41 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযু‌ক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দাকার নাসিরউদ্দিন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমরা তার (উপাচার্য নাসিরউদ্দিন) পদত্যাগপত্র পেয়েছি। আইন অনুযায়ী যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা প্রয়োজন, আমরা সে প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে মতবিনিয়ের আগে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন- পদত্যাগ করলেন গোপালগঞ্জের সেই ভিসি

বিজ্ঞাপন

ইউজিসি’র প্রতিবেদন বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইউজিসি যে প্রতিবেদন দিয়েছে, আমরা সেটি হাতে পেয়েছি। আমরা প্রতিবেদনটি দেখব, তারপর পরবর্তী করণীয় ঠিক করব। তবে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই তিনি (উপাচার্য নাসির) নিজেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

এ ঘটনার মাধ্যমে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উপাচার্যদের কোনো বার্তা দেবেন কি না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হন, তাদের একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড যেমন স্ট্রং, তেমনি অন্যান্য অভিজ্ঞতাও থাকে। তারপরও কোনো কোনো সময় হয়তো পরিস্থিতির কারণে, কখনো হয়তো ব্যক্তিগত বিভিন্ন কারণেও কোথাও কোথাও কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যা যেন না হয়, সে বিষয়ে উপাচার্যদের সচেষ্ট থাকতে আমরা আলোচনা করব। আবার কোনো সমস্যা হলে তা কিভাবে নিরসন করা যায়, সে বিষয়টি নিয়েও তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

এর আগে, রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপাচার্য নাসিরউদ্দিনকে প্রত্যাহারের সুপারিশ করে ইউজিসি’র তদন্ত কমিটি। উপাচার্যের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলন খতিয়ে দেখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল ইউজিসি। প্রতিবেদনটি পাওয়ার পর ইউজিসি তা রোববারই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়। এদিন রাতেই পুলিশ ডেকে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন উপাচার্য নাসিরউদ্দিন।

বিজ্ঞাপন

ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে ছিল আগে থেকেই। সর্বশেষ গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ফাতেমা তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে ওঠে। ওই শিক্ষার্থী একটি দৈনিক পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। বশেমুরবিপ্রবি নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার জের হিসেবে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ জিনিয়ার। পরে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ওই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে মোবাইলে উপাচার্যের ‘আপত্তিকর’ ভাষায় কথোপকথনের একটি অডিও-ও ভাইরাল হয় অনলাইনে।

আরও পড়ুন-

ভিসি নাসিরকে প্রত্যাহারের সুপারিশ ইউজিসির

পুলিশ ডেকে ক্যাম্পাস ছাড়লেন গোপালগঞ্জের ভিসি

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন