বিজ্ঞাপন

গণরুমের ছাত্রদের নিয়ে ভিসির বাসভবনে থাকার হুঁশিয়ারি ডাকসু নেতার

October 1, 2019 | 1:19 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

ঢাবি: গণরুমের শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনে থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য তানভীর হাসান সৈকত। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট ও গণরুম সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে আয়োজিত একটি ছাত্র সমাবেশ হয়। গণরুম সমস্যা সমাধান ও নবীন শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে ভর্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলের গণরুমের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে গণরুম সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের প্রতি আহ্বান জানান ডাকসু সদস্য সৈকত। উপাচার্যের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি আমাদের গণরুম সমস্যা সমাধানের জন্য আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যত গণরুমবাসী শিক্ষার্থী আছে, যারা গণরুমে থাকে, তারা সবাই গিয়ে আপনার বাসায় উঠবো।’

উপাচার্যের বাসভবনে ওঠার হুঁশিয়ারিতে জোর দিয়ে সৈকত বলেন, ‘এখান থেকে বলছি, ১৫ দিন সময়। ১৫ দিন থেকে একদিনও এদিক-ওদিক হবে না। ১৫ দিনের মধ্যে যদি গণরুম সমস্যা সমাধানের জন্য কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ না নিয়ে থাকেন তাহলে ১৫ দিন পরে এই গণরুমবাসী শিক্ষার্থীরা আপনার বাসায় গিয়ে উঠবে।’

বিজ্ঞাপন

উপাচার্যের উদ্দেশে সৈকত আরও বলেন, ‘কীরকম অভিভাবক হয়েছেন আপনি? একটা সন্তান না ঘুমানো পর্যন্ত অভিভাবকের ঘুম আসা উচিত না। সেখানে সন্তানরা না ঘুমিয়ে রাস্তায় রাত্রি যাপন করে, মসজিদে ঘুমায়, না ঘুমিয়ে পরের দিন সকালে ক্লাস করে। তাদের কথা চিন্তা না করে আপনি কিভাবে এসি রুমে ঘুমাচ্ছেন?’

এসময় ক্যাম্পাসের সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা ব্যাক্তিগত রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সৈকত। এছাড়া গণরুম সমস্যা সমাধানে ডাকসুর নেতাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

ছাত্র সমাবেশে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলের গণরুমের শিক্ষার্থীরা গণরুম সমস্যার সমাধান ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে আগত নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘আমরা এখন চুপসে গেছি, জ্ঞানশূন্য কালো মাছ‘, ‘গণরুমের বঞ্চনা, মানি না মানবো না’, ‘প্রথম বর্ষ থেকে বৈধ সিটের অধিকার চাই’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

প্রসঙ্গত, ডাকসু নির্বাচনের সময় প্রায় প্রতিটি সংগঠনের নেতারা তাদের ইশতেহারে গণরুম সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ছয় মাসেও এই সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রতিবাদ হিসেবে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে নিজের বৈধ সিট ছেড়ে দিয়ে গণরুমে থাকছেন ডাকসু সদস্য সৈকত। গত ৩ সেপ্টেম্বর সাময়িকভাবে গণরুম সমস্যা সমাধানে কয়েকটি প্রস্তাব সংবলিত একটি স্মারকলিপিও উপাচার্যের কাছে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখনও গণরুম সমস্যার সমাধানে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন এই নেতা।

সারাবাংলা/কেকে/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন