বিজ্ঞাপন

রংপুর উপনির্বাচনে ‘মক ভোটিং’য়ে সাড়া নেই ভোটারদের

October 3, 2019 | 9:20 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রংপুর: রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন সামনে রেখে ‘মক ভোটিং’ অনুষ্ঠিত হয়েছে রংপুর সদরের ১৭৫টি কেন্দ্রে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট নেওয়া হবে বলে নির্বাচনের একদিন আগেই ভোটের এই মহড়ার আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। তবে সে আয়োজনে সাড়া মেলেনি ভোটারদের। বেশিরভাগ কেন্দ্রেই খুব অল্পসংখ্যক ভোটার উপস্থিত হয়েছিলেন অনুশীলন ভোট দিতে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে আশা করছে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বললে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট আয়োজনে তারা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।

শনিবার (৫ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হবে রংপুর সদর আসনের এই উপনির্বাচন। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১৭৫টি কেন্দ্রে একযোগে ভোট নেওয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটারদের ভোট দিতে হবে ইভিএমে।

নির্বাচন কমিশন বলছে, প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য একজন করে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে আগেই। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা নিজ নিজ কেন্দ্রে মক বা অনুশীলন ভোটিং কার্যক্রম শুরু করেন।

বিজ্ঞাপন

তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি একেবারেই কম। ভোটের একদিন আগেও ইভিএম মেশিনে ভোট দেওয়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা। স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, এই উপনির্বাচন নিয়ে সামগ্রিকভাবে ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই।

ভোটারদের কেউ কেউ বলছেন, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়ে তারা আনন্দিত। এতে করে ভোটদান সহজ হবে। তবে অনেকেই বলছেন, ইভিএম নিয়ে আরও আগে থেকেই প্রচারণা চালানো প্রয়োজন ছিল। এত অল্প সময়ে ইভিএম ঠিকঠাকমতো বুঝে উঠতে পারবেন কি না, সন্দেহ পোষণ করছেন তারা।

তবে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম শাহাতাব উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, ইভিএমে কিভাবে ভোট দিতে হয়, তা আমরা হাতে-কলমে আজকে দেখিয়ে দিয়েছি। আর রংপুরের মানুষ ইভিএম-বান্ধব। আশা করছি, তারা সঠিক পদ্ধতিতে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে। এ বিষয়ে কোনো অসুবিধা হবে না।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে রংপুরে। গোটা নির্বাচরি এলাকা তিন স্তরের নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের গুরুত্ব অনুযায়ী পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে একটি চৌকস টিম থাকবে বলে জানিয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশ।

রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহাতাব উদ্দীন বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার থেকে পাঁচ জন পোশাক পরিহিত অস্ত্রধারী সদস্য থাকবেন। এছাড়াও আরও ১০-১২ জন দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়া ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চার জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটসহ শতাধিক স্ট্রাইকিং ও মোবাইল ফোর্স থাকবে। ১৮ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকবেন নির্বাচনে। র‌্যাবেরও ২৪টির মতো মোবাইল টিম মাঠে থাকবে। আমরা মনে করি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়ছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তা যথেষ্ট।

রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, আমরা সব ভোটারদের আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসবেন, ভোট নিয়ে নির্বিঘ্নে বাসায় যাবেন। নির্বাচনের আগের দিন, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পরের দিনে গোটা এলাকায় যে নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকবে, তাতে কোনো ধরনের সহিংসতা করার সাহস কোনো দুষ্কৃতিকারী পাবে না।

এই উপনির্বাচনে ১৭৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯৬টি কেন্দ্রকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকার ৪০টি কেন্দ্রকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের জন্য নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বিজ্ঞাপন

রংপুর  মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আব্দুল আলীম মাহমুদ বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়েছি। প্রতিটি কেন্দ্রেই পুলিশের সঙ্গে থাকবে আনসার সদস্য। মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরের কেন্দ্রগুলোতে আনসারের পাশাপাশি গ্রাম পুলিশও থাকবে। এর বাইরে মোবাইল কোর্ট, স্পেশাল মোবাইল কোর্ট, স্ট্রাইকিং ফোস, স্পেশাল স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যাব এবং সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। প্রতিটি ভোটার যেন ভোট দিয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন, সে বিষয়ে আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি রয়েছে।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন