বিজ্ঞাপন

জ্বালানি আন্দোলনকে ঘিরে উত্তাল ইকুয়েডর, জরুরি অবস্থা জারি

October 4, 2019 | 12:08 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অর্থনৈতিক রাজস্ব উন্নয়নের লক্ষ্যে কয়েক বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক সংস্কার প্যাকেজ ঘোষণার পর তোপের মুখে রয়েছেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মর্নো। তার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার আন্দোলনকারী, ডাকা হয়েছে পরিবহন ধর্মঘট। দেশব্যাপী এই আন্দোলনকে মোকাবিলা করতে ইকুয়েডরজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এ খবর জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে।

বিজ্ঞাপন

লেনিন মর্নো মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) এই অর্থনৈতিক সংস্কার প্রস্তাব ঘোষণা করেন। প্রতি বছরে যার আকার হবে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর অংশ হিসেবে কর সংস্কার, শ্রম নিরাপত্তা প্রত্যাহার এবং ৪০ বছরের পুরাতন জ্বালানি ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে তিনি জানান, চোরাচালান ঠেকাতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য জ্বালানি ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নেওয়া অতি জরুরি। এক টেলিভিশন ভাষণে মর্নো বলেন, এই ভর্তুকি প্রত্যাহারের ফলে গ্যালোন প্রতি গ্যসোলিন ১.৮৫ ডলার থেকে বেড়ে ২.৩০ ডলার হবে এবং ডিজেলের দাম ১.০৩ ডলার থেকে বেড়ে ২.২৭ ডলার হবে।

এছাড়াও পেট্রোলিয়াম রপ্তানীকারকদের সংগঠন (ওপেক) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি।

বর্ধিত তেলের দামকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) থেকে ইকুয়েডরের রাজধানী কিয়োটো এবং দেশটির সবচেয়ে বড় শহর গুয়াকুইলে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নামেন। ট্যাক্সি, বাস ও ট্রাক চালকরা রাস্তা আটকিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। দেশজুড়ে অবরোধ চলায় বাস স্টেশনগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সরকারের ওপর চাপ তৈরি করছে আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভকারীদের বিভিন্ন গ্রুপ রাস্তা অবরোধ করে, টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে, পুলিশের সাথে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াও হয়েছে। প্রতি উত্তরে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুঁড়েছে।

বিজ্ঞাপন

আন্দোলনকারীরা জ্বালানি ইস্যুকে সামনে রেখে সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক প্যাকেজটিই পুনরায় বিবেচনার দাবি তুলেছেন। ইকুয়েডরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যেই ১৯ জন আন্দোলনকারীকে পুলিশ আটক করেছে।

এদিকে, নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং যে কোনো ধরনের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি এড়াতে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট লেনিন মর্নো। এ বিষয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, জরুরি অবস্থা চলাকালীন আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতেই সর্বোচ্চ ক্ষমতা ন্যস্ত থাকবে।

প্রসঙ্গত, ১৭ কোটি জনসংখ্যার দেশ ইকুয়েডরে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক দূরাবস্থার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ করা যায় যে, ২০১৭ সালে বাজার বান্ধব অর্থনীতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা লেনিন মর্নো তার অর্থনৈতিক সংস্কার প্রস্তাব থেকে সরে আসবেন না।

সারাবাংলা/একেএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন