বিজ্ঞাপন

রংপুর সদরে এরশাদের উত্তরসূরী নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

October 5, 2019 | 9:03 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রংপুর: জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আসন হিসেবে পরিচিত রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে ১৭৫টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ছয় জন প্রার্থী এই আসনে এরশাদের উত্তরসূরী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় এই আসনের ভোটগ্রহণ, একটানা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোট নেওয়া হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে।

লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী রাহগির আলমাহি এরশাদ (সাদ এরশাদ), ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রিটা রহমান, মোটরগাড়ি (কার) প্রতীক নিয়ে এরশাদের ভাতিজা স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার, আম প্রতীক নিয়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শফিউল আলম, মাছ প্রতীক নিয়ে গণফ্রন্টের প্রার্থী কাজী মো. শহীদুল্লাহ এবং দেয়াল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মো. তৌহিদুর রহমান তাদের প্রচারণা শেষ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- নির্বাচনি সরঞ্জাম পৌঁছেছে, রংপুর-৩ আসনে প্রস্তুত ইসি

এছাড়া আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. রেজাউল করিম রাজু তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। বাতিল হয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. একরামুল হক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কাওছার জামানের মনোনয়ন।

এর আগে, উপনির্বাচন সামনে রেখে ৩ অক্টোবর ১৭৫টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করে ‘মক ভোটিং’ কার্যক্রমের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। তবে সে আয়োজনে সাড়া মেলেনি ভোটারদের। বেশিরভাগ কেন্দ্রেই খুব অল্পসংখ্যক ভোটার উপস্থিত হয়েছিলেন অনুশীলন ভোট দিতে।

বিজ্ঞাপন

রংপুর সদরের এই আসনটিতে জাতীয় সংসদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবেন ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৭৬২ জন।

আরও পড়ুন- সাদ ছাড়া কেউ খুশি নন রংপুর উপনির্বাচনে

এর আগে, শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ইভিএমসহ নির্বাচনি সব সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রগেুলোতে। এগুলো সংরক্ষণ করতে এদিন রাতেই নিরাপত্তা বাহিনী ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা অবস্থান নেন কেন্দ্রে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম শাহাতাব উদ্দীন শুক্রবার বলেন, এই আসনের সব ভোটারকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা একটি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছি। কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটলে তা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিহত করতে সব ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।

রংপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) বিপ্লব কুমার সরকার ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আব্দুল আলীমও জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত এই আসনে ভোটগ্রহণের জন্য। তারা জানান, গুরুত্ব অনুযায়ী প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দিষ্টসংখ্যক সদস্য মোতায়েন ছাড়াও থাকবে মোবাইল টিম, স্পেশাল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স, স্পেশাল স্ট্রাইকিং ফোর্স ও র‌্যাব-বিজিবির টহল। সাদা পোশাকেও পুলিশ নজর রাখবে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- রংপুর উপনির্বাচনে ‘মক ভোটিং’য়ে সাড়া নেই ভোটারদের

রংপুর আসন শূন্য ঘোষণা

গত ১৪ জুলাই জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে তার আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। ১৬ জুলাই সংসদ সচিবালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) আ ই ম গোলাম কিবরিয়া আসনটি শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশ করেন।

সংবিধান অনুযায়ী, কোনো সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সেখানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে হবে। সে বিধান বিবেচনায় ৫ অক্টোবর ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে গত ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে এই আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষ তারিখ ছিল ৯ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয় ১১ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ১৬ সেপ্টেম্বর।

অক্টোবর সাধারণ ছুটি

নির্বাচন উপলক্ষে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রংপুর-৩ নির্বাচনি এলাকার শূন্য আসনে নির্বাচন উপলক্ষে ৫ অক্টোবর সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে নির্বাচনি এলাকায় ওই দিন যদি কোনো পাবলিক পরীক্ষা হওয়ার দিন ঠিক থাকে, তাহলে পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো সাধারণ ছুটির আওতামুক্ত থাকবে।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন