বিজ্ঞাপন

শান্তিনগর-মহাখালীতে সম্রাটের বাসায় র‌্যাবের অভিযান

October 6, 2019 | 3:32 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকা মহানগর যুবলীগের সভাপতি (বহিষ্কৃত) ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের শান্তিনগর ও মহাখালী ডিওএইচএসের বাসায় অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বিজ্ঞাপন

র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। রোববার (৬ অক্টোবর) এই অভিযান চালানো হয়।

এর আগে রাজধানীর কাকরাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র‌্যাব। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে অভিযান চলছে।

শান্তিনগরে সম্রাটের ওই বাসায় তার ভাই মো. বাদল থাকেন। মহাখালীর বাসায় থাকেন সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

রাজধানীতে ক্যাসিনো পরিচালনার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কুঞ্জশ্রীপুর গ্রাম থেকে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে আটক করে র‌্যাব। একইসঙ্গে সম্রাটের সহযোগী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও আটক করে র‌্যাব।

সম্রাটের বাসায় অভিযান চালানোর পাশাপাশি মিরপুর-২ এ আরমানের বাসায়ও অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাব-৪। ব্লক-ই এর ৩/৬ নম্বর বাসায় রোববার দুপুরে অভিযান শুরু হয়।

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান থেকে নিজেকে বাঁচাতে ৯ দিন আগে ঢাকা থেকে কুমিল্লায় পালিয়ে যান সম্রাট। সেখানে স্থানীয় এক জামায়াত নেতার বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। কুমিল্লার কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে একাধিকবার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে সীমান্তে কড়া নজরদারি থাকায় সম্রাট পাালাতে পারেনি।

বিজ্ঞাপন

গত ১৮ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকেই দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল সম্রাটের গ্রেফতার নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন ছিল। গত ২৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইসি) সম্রাট ও তার স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠিও দেয়।

সম্রাট আটক হয়েছেন— এমন গুঞ্জনের মুখে সর্বশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সম্রাট গ্রেফতার কি না— এ প্রশ্নের উত্তর আপনারা শিগগিরেই জানতে পারবেন।’ শেষ পর্যন্ত র‌্যাবের হাতে আটক হলেন সম্রাট।

এর আগে, ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে ইয়ং মেনস ক্লাবে প্রথম অভিযান শুরু করে তারা। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া সেখানে অবৈধ ক্যাসিনো চালাতেন বলে অভিযোগ আছে। ওই একইসময়ে গুলশানে খালেদের বাসাতেও অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যায় আটক করা হয় তাকে।

অভিযানে খালেদের বাসা থেকে একাধিক অস্ত্র, মাদক ও বিপুল পরিমাণ টাকা জব্দ করে র‌্যাব। অন্যদিকে ইয়ং মেনস ক্লাবের ক্যাসিনো থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা জব্দ করা হয়, আটক করা হয় ১৪২ জনকে। তাদের মধ্যে ৩১ জনকে একবছর ও বাকি ১১১ জনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া বিপুল পরিমাণ মদ, বিয়ার, সিগারেটসহ নেশাজাতীয় বিভিন্ন দ্রব্য জব্দ করা হয় ওই ক্যাসিনো থেকে।

বিজ্ঞাপন

পরে মতিঝিলের ক্লাব পাড়ার ঐতিহ্যবাহী ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্লাব, ধানমন্ডির কলাবাগান ক্লাবসহ উত্তরা-বনানী-গুলশানের বেশকিছু ক্লাবের অবৈধ ক্যাসিনোতেও অভিযান চালানো হয়। প্রতিটি ক্যাসিনো থেকেই উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ মদ, বিয়ার, সিগারেটসহ নেশাজাতীয় দ্রব্য।

সারাবাংলা/এসএইচ/ইউজে/একে

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন