বিজ্ঞাপন

১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অবৈধ ডিটিএইচ সংযোগ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ

October 9, 2019 | 9:58 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ক্যাবল ছাড়াই স্যাটেলাইট চ্যানেল দেখার সুবিধা দেওয়া ডিরেক্ট-টু-হোম (ডিটিএইচ) সেবা অবৈধভাবে পরিচালার মাধ্যমে দেশ থেকে প্রতিবছর আটশ কোটি টাকা ‘পাচার’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এই অর্থ পাচার চলতে দেওয়া যাবে না। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সব অবৈধ ডিটিএইচ সংযোগ সরিয়ে ফেলতে হবে। নিজ উদ্যোগে না সরালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে টেলিভিশন শিল্পী, কলাকুশলী, নাট্যকার, অনুষ্ঠান নির্মাতাদের সম্মিলিত সংগঠন ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশনসের (এফটিপিও) সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির ডিটিএইচ অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়। বিদেশি কোনো ডিটিএইচ কোম্পানিকে এখানে ডিটিএইচ যন্ত্র বসিয়ে সম্প্রচারের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তাই তারা যেসব ডিটিএইচ ব্যবহার করছেন বা যাদের মাধ্যমে ব্যবহার করছেন, পুরোটাই অবৈধ।

বিজ্ঞাপন

দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েক লাখ বিদেশি ডিটিএইচ সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কেবল শহরে নয়, এখন বিভিন্ন গ্রামেও ডিটিএইচ লাগানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। এটা বিদেশ থেকে কেনা হয়, বাংলাদেশের টাকা হুন্ডির মাধ্যমে যায়। এগুলো যারা ব্যবহার করে, তাদের কাছ থেকে এক বছরের টাকা নিয়ে নেওয়া হয়। কোম্পানি তো বিদেশি, মাসে মাসে নেওয়া কঠিন। এজন্য একবছরের টাকা নিয়ে সেগুলো আবার হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হয়। এভাবে দেশের সাতশ থেকে আটশ কোটি টাকার বেশি বিদেশে পাচার হয়। এটি চলতে দেওয়া যাবে না।

অবৈধ ডিটিএইচ সরিয়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সব অবৈধ বিদেশি ডিটিএইচ যন্ত্র সরিয়ে নিতে হবে। তা না হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্যবস্থা নেবে।

এফটিপিও আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ সভায় বাংলায় ডাবিং করা বিদেশি সিরিয়াল অনুমোদনের জন্য একটি কমিটি গঠন ও এ ধরনের সিরিয়াল অফ-পিক আওয়ারে সম্প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, দেশের ৮০ শতাংশ বিয়ে ভাঙার জন্য বিদেশি সিরিয়ালের পরকীয়া, হিংসা-দ্বেষমূলক কাহিনী দায়ী।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন