বিজ্ঞাপন

‘ইউনিয়ন পর্যন্ত নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহে কাজ করছে সরকার’

October 10, 2019 | 10:32 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

সরকার জেলা ও উপজেলা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যন্ত নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমরা বর্তমানে কেবল ঢাকা নয়, বিভাগীয় শহরগুলোতেও নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ করছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জেলা ও উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের মানুষের কাছে নিরাপদ খাবার পানি পৌঁছে দেওয়া। সেভাবেই আমরা কাজ করছি।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের জশলদিয়ায় পদ্মা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ফেজ-১), ঢাকার সাভারের তেতুলঝরায় ওয়েল ফিল্ড কনস্ট্রাকশন প্রজেক্ট (ফেজ-১) ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গান্ধাপুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রথম দুইটি প্রকল্পে যথাক্রমে ৪৫ কোটি ও ১৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ এবং শেষের প্রকল্পটির ৫০ কোটি লিটার পানি শোধনের সক্ষমতা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সরবরাহ বিভাগের সচিব হেলাল উদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি-জিমিং, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু কাং-ইল, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ ও ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে রাজধানীর ক্রমবর্ধমান পানির চাহিদা মেটাতে এই তিন প্রকল্পসহ গত ১০ বছরে ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্প ভিডিও উপস্থাপনার মাধ্যমে দেখানো হয়।

অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবার জন্য নিরাপদ পানি’— এই স্লোগানকে ধারণ করে ঢাকা ওয়াসা রাজধানীর বস্তিগুলোতে আইনসম্মত ও নিরাপদ পানি সংযোগের প্রক্রিয়া এরই মধ্যে নিশ্চিত করেছে সরকার। পর্যায়ক্রমে সব বস্তি পানি সরবরাহের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে সব বিভাগীয় শহরে ভূ-উপরিস্থ পানির উৎসের মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমাতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থার জন্য শিল্পাঞ্চল ও আবাসিক এলাকায় জলাধার নির্মাণ এবং বর্জ্য ও দূষিত পানি নিষ্কাশনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে ৪ হাজার ৭শ জলাধার নির্মাণ করা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ সব নদীর নাব্য বজায় রাখা ও তা জলাধার হিসেবে ব্যবহার করতে নদী খননের কাজ চলছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিস্রবণের মাধ্যমে সাত হাজার পুকুর লবণাক্ততামুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া লবণাক্ত অঞ্চলে ৩২ হাজার ছয়শ গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।

সবার জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি নিশ্চিত করতে সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানি সরবরাহ, স্যুয়ারেজ ও ড্রেনেজ সিস্টেম নিয়ে আমাদের সরকার তিনটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে। পাশাপাশি ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যুয়ারেজ অ্যাক্ট ও ন্যাশনাল ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন অ্যাক্ট ২০১৪ পাস এবং ১৯৯৯ সালে জাতীয় পানি নীতি ও ন্যাশনাল পলিসি ফর আর্সেনিক মিটিগেশন অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে।

সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) সফল বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে ৬ নম্বর হচ্ছে সবার জন্য স্যানিটেশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও পর্যাপ্ত সুযোগ নিশ্চিত করা। আমরা সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজি সমন্বিত করেছি এবং এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০৪১ সাল নাগাদ দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছে। বাসস।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন