October 11, 2019 | 3:23 pm
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, দ্বন্দ্ব নিরসনে প্রচেষ্টা ও ইরিত্রিয়ার সঙ্গে সীমান্তে সংঘাত বন্ধের স্বীকৃতি হিসেবে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলিকে এবছর নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। তিনি শততম নোবেল পুরস্কার জয়ী। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
শুক্রবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টার দিকে অসলোতে নরওয়ের নোবেল অ্যাকাডেমি আনুষ্ঠানিকভাবে আবির নাম ঘোষণা করে।
নোবেল কমিটি বিবৃতি জানায়, যখন আবি আহমেদ ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন, তখনই তিনি ইরিত্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে পদক্ষেপ নেন। ইরিত্রিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শান্তি আলোচনার মাধ্যমে আবি দীর্ঘদিনের বৈরিতা ও সংঘাত বন্ধে সক্ষম হন।
আবি আহমেদ ২০ বছর ধরে ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার সীমান্তে সামরিক অচলাবস্থা কাটিয়ে চুক্তিতে পৌঁছান। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকট মীমাংসায়ও আছে আবি’র গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তিনি তার বিরোধী দলের অনেককে দেশে ফিরতে সহায়তা করেছিলেন। অনেককে দিয়েছিলেন জেল থেকে মুক্তি।
চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ২২৩ জন ব্যক্তি ও ৭৮টি সংগঠনকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত করা হয়। তবে ৫০ বছর পেরুনোর আগ পর্যন্ত নোবেল কমিটি কারও নাম-পরিচয় প্রকাশ করবে না।
গতবছর ২০১৮ সালে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন কঙ্গোর ড্যানিশ মুকওয়েগা ও ইরাকের নাদিয়া মুরাদ। যুদ্ধক্ষেত্রে নারীর প্রতি যৌন সহিংসতাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তাদের এই সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এবছর নোবেল বিজয়ীদের তালিকা:
কোষে অক্সিজেনের সরবরাহ নিয়ে গবেষণার জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল জিতেন উইলিয়াম জি. কেইলেন, স্যার পেটার জে রেটক্লিফ ও গ্রেগ এল সেমনেজা।
মহাকাশ নিয়ে গবেষণার জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল জিতেন জেমস পিবলস, মিশেল মেয়র ও দিদিরি কোয়েলজ।
লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি নিয়ে গবেষণায় রসায়নে নোবেল পান জন বি গুডেনাফ, এম স্ট্যানলি হুয়েটিংহাম ও জাপানের আকিরা ইউসানো।
সাহিত্যে ২ বছরের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় একসঙ্গে। পোল্যান্ডের সাহিত্যিক ওলগা তোকারচুক পেয়েছেন ২০১৮ সালের নোবেল পুরস্কার এবং ২০১৯ সালের নোবেল সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন অস্ট্রিয়ার লেখক পিটার হ্যান্ডকে।
সারাবাংলা/এনএইচ