বিজ্ঞাপন

বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা হতে দেবে না আন্দোলনকারীরা

October 11, 2019 | 8:26 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সব দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা হতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি- ভিসি ড. সাইফুল ইসলামের সঙ্গে তাদের যে সংলাপ হয়েছে ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ ও আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত ১৯ জনকে প্রাথমিক বহিষ্কার ছাড়া তাদের সংলাপ ফলপ্রসূ হয়নি।

বিজ্ঞাপন

যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্রদের ১০ দফা দাবি মেনে নেওয়া হলো। আবরার হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে। এছাড়া আবরার হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলার খরচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় শুরু হওয়া এ সংলাপে আবরারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন ভিসি সাইফুল ইসলাম। এছাড়া আবরারের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।

সংলাপে ভিসি বলেন, ‘সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের কমিটি বিলুপ্তি করতে বলা হয়েছে। এখন ভয় পাওয়ার কিছু নেই, সবাই সাধারণ ছাত্র। যদি কেউ গোপনে ছাত্র রাজনীতি করে তাহলে বোর্ড অব ডিসিপ্লিনের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

সংলাপ শেষে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আগামী ১৪ অক্টোবর বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু আরবারের লাশের ওপর আমরা ১৪ হাজার আবরার ক্যাম্পাসে আনব না।

উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করতে বুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া বহিরাগত ও অন্যদের প্রবেশ রুখতে বুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের গেইটে বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেখে প্রবেশ নিশ্চিত করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত কয়েকদিন ধরে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করার চেষ্টা করেও আলোচনা করতে পারেননি শিক্ষার্থীরা। তবে, উপাচার্য গণমাধ্যম ছাড়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি হলেও শিক্ষার্থী রাজি হননি।

বিজ্ঞাপন

পরে গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের সামনে সকল বর্তমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করার জন্য শুক্রবার দুপুর দুইটা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। অনেক আলোচনার পর আজ বিকেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের শর্ত মোতাবেক আলোচনায় বসেছেন উপাচার্য। তাই, উপাচার্যকে সম্মান প্রদর্শনার্থে শিক্ষার্থীরা তাদের আল্টিমেটাম বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বাড়ায়।

প্রসঙ্গত, আবরার হত্যার দ্বিতীয় দিন গত ০৮ অক্টোবর উপাচার্য তার কার্যালয়ে এসে ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে একটি গোপন বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই চলে যেতে চাইলে তাকে কয়েক ঘণ্টা তাকে কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। তবে মাঝে একবার বেরিয়ে এসেও শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ না করায় এবং শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করতে না পারায় পুনরায় তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল শিক্ষার্থীরা।

গত সোমবার (৭ অক্টোবর) বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরারের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রাতভর নির্যাতনে আবরারের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরইমধ্যে বেশ কয়েকজন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

আবরার হত্যা: জিয়নের দোষ স্বীকার, মিজান কারাগারে
আবরার হত্যা: অমিত সাহা ও তোহা ৫ দিনের রিমান্ডে
‘বুয়েট প্রশাসন আরেকটু কেয়ারফুল থাকলে আবরার হত্যা নাও ঘটতে পারত’
আবরার হত্যা মামলার আরেক আসামি মাজেদুল গ্রেফতার
আবরার হত্যায় স্বীকারোক্তি দিলেন ছাত্রলীগ নেতা সকাল
আবরার হত্যার ঘটনা পুঁজি করে মাঠে নেমেছে ছাত্রশিবির
আবরার হত্যা বাক স্বাধীনতার ওপর নিষ্ঠুরতম আঘাত: টিআইবি
আবরারকে মারা হচ্ছে জানলে প্রশাসনের অনুমতির অপেক্ষা করতো না পুলিশ
আবরার হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে: আইনমন্ত্রী
আবরার হত্যা: পলাতক আসামি তোহা গ্রেফতার
‘আবরার হত্যা মামলার চার্জশিট শিগগিরই’
আবরারের রুমমেট মিজান আটক
আবরার হত্যা: অমিত সাহা আটক
২০১১ নয় ২০০৫ নম্বর রুমে মারা যান আবরার, হত্যায় জড়িত ২২ জন

সারাবাংলা/কেকে/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন