October 12, 2019 | 6:36 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
পেসার শহিদুল ইসলাম মূলত একজন স্ট্রাইক বোলার। অর্থাৎ দলের বোলিংয়ের গোড়াপত্তন তার হাতেই হয়। সেই তিনিই কী না ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়ে গেলেন! ভুল পড়ছেন না। জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) চলমান আসরের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে তার ব্যাটেই প্রথম ইনিংসে লিড নিতে সক্ষম হয়েছে ঢাকা মেট্রো। ১৩৭ বল খেলে ৯ চার ও ১ ছয়ে ৮২ রান নিয়ে দিন শেষে থেকেছেন অপরাজিত। সঙ্গী হিসেবে ক্রিজের অপর প্রান্তে পেয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাবিদ হোসেনকে।
শহিদুলের সঙ্গে ১৪৮ রানের জুটি গড়েছেন তিনি। ৮১ রান করতে জাবিদের ২১০ বল লাগলেও কঠিন সময়ে সেট শহিদুলকে সঙ্গ দিয়েছেন। আর তাদের এই জুটিতেই তৃতীয় দিন শেষে ৭ উইকেটে ৩৪৯ রানের সংগ্রহ পেয়েছে ঢাকা মেট্টো। যা কী না মার্শাল আইয়ুবদের এনে দিয়েছে ৫৯ রানের লিড। প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রাম বিভাগের সংগ্রহ ছিল ২৯০ রান।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দিনের খেলা শুরু করেছিলেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান শামুসর রহমান শুভ ও অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব। টপ অর্ডার শামসুর রহমান আগের দিনের সঙ্গে ২৯ রান যোগ করে ফিরে গেছেন মাসুম খানের বলে এলবি’র ফাদেঁ পড়ে।
অপরাপজিত আরেক ব্যাটসম্যান মার্শাল আইয়ুব অবশ্য একরানও যোগ করতে পারেননি। কেননা আগের দিন হাঁটুতে বল লাগায় তার ব্যাটিংয়ে নামা হয়নি।
শামসুর রহমানের বিদায়ের পর ব্যক্তিগত ৫ রানে মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদির স্পিনে পরাস্ত হন আল-আমিন। একই সংগ্রহে সৈকত আলীকেও ক্রিজ ছাড়া করেন মিনহাজ। ছাড় দেননি আরাফাত সানিকেও। দিনের ৭৭তম ওভারে তার ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারিটি উড়িয়ে মারতে গেলে মাসুমের হাতে ধরা পড়েন সানি।
আফ্রিদিকে বেরিয়ে দারুণ এক ছক্কা হাঁকানোর পর রানের গতি বাড়াতে সচেষ্ট ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু খুব বেশিদূর নিজের ইনিংসকে টেনে নিতে পারেননি। অফ স্পিনার রনি চৌধুরীকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ৬৩ রানে ফিরে যান শর্ট মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ দিয়ে। এই সংগ্রহে তিনি সহায়তা নিয়েছে ৫ চার ও ১ ছক্কার।
২০১ রানে ৭ উইকেট তুলে নিয়ে লিডের আশা জাগিয়েছিল চট্টগ্রাম বিভাগ। কিন্তু শহিদুল ও জাবিদের দৃঢ় ব্যাটিং তাদের সেই আশায় পানি ঢেলে দেয়। শহিদুল-জাবিদের নিরবিচ্ছিন্ন ব্যাটিংয়ে অনায়াসেই দিনের বাকি অংশ কাটিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি