বিজ্ঞাপন

আমরা এবার ছাড়ব না: মওদুদ

February 12, 2018 | 5:35 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার হওয়া কারাবন্দি খালেদা জিয়ার শ্যোন অ্যারেস্টের ‘খবর’ আমলে নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘আমরা এবার ছাড়ব না। একটা পর্যায় গিয়ে চরম কর্মসূচি দেব।’

সেগুনবাগিচা স্বাধীনতা হলে সোমবার বিকেলে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম এ সভা আয়োজন করে।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এই সরকার হীনম্মন্যতার পরিচয় দিয়েছে অলরেডি। তারা অনেক রকম প্যাঁচাবে। আমরা জামিন পেলাম, বলল যে শ্যোন অ্যারেস্ট। শুনেছি কুমিল্লার মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট করা হবে। করে দেখুক। আমরা এবার ছাড়ব না।’

বিজ্ঞাপন

‘এই যে আমাদের আন্দোলনের সূচনা হলো। এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এবং যেকোনোভাবেই হোক, আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই আমাদের এই আন্দোলনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। একটা পর্যায় গিয়ে আমাদেরকে চরম কর্মসূচি দিতে হবে— সরকার যদি আমাদের দাবি না মানে। তখন সবাইকে  ঐক্যবদ্ধ হয়ে সে আন্দোলন সফল করতে হব’— বলেন সাবেক এই আইনমন্ত্রী।

রায়ের কপি দিতে গড়িমসি করা হচ্ছে অভিযোগ করে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবারেই আমরা কপি চেয়েছি। উনি (বিচারক মো. আখতারুজ্জামান) তো বলেছেন, উনি ৬৩২ পাতার রায় লিখেছেন। তিনি সেদিন সংক্ষিপ্ত আকারে পড়েছেন। তার মানে ওনার রায় তো রেডি।’

‘এটার একটা সত্যায়িত কপি আমাদের দরকার। তা নাহলে তো আমরা আপিল ফাইল করতে পারব না। এখন তারা এটা নিয়ে গড়িমসি করছে। আমরা ভেবেছিলাম গতকালই পাব। গতকাল পাওয়া যায়নি। বিচারক কোর্ট ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। আর সম্ভবপর হয়নি’— বলেন মওদুদ।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘একটা দিন দেড়ি করলে বেগম জিয়া আরো বেশি কষ্ট পাবেন— এটাই তাদের মনের ইচ্ছা বলে মনে হয়। এত নিষ্ঠুর! জেলখানাতেও যদি মানবিক আচরণ না করেন, তাহলে তো এই সরকার একটা অমানবিক সরকার। মানবতাবোধ নেই এই সরকারের। যার জন্য এই অবস্থা হয়েছে।’

রায়ের সত্যায়িত কপি পেলেই আপিল করা হবে জানিয়ে মওদুদ বলেন, ‘যদি সত্যায়িত কপি পাই আমরা কয়েক দিনের মধ্যে আপিল ফাইল করব। কারণ, এটা তো অনেক বড়। আপিল ফাইল করলে কিছু লেখা-পড়া করে করতে হবে। কোথায় কোথায় বিচারকের দুর্বলতা আছে, কোথায় কোথায় রায়ের মধ্যে সাংঘর্ষিক বক্তব্য আছে— সে বিষয়গুলো দেখে আপিল ফাইল করতে হবে।’

হাইকোর্টে এই রায় টিকেব না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই রায় হাইকোর্টে যখন আমরা নেব তখন টিকবে না, টিকতে পারে না। কারণ, সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়া একটি রায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে। কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ নেই এখানে। ৬৩২ পাতাই হোক আর যাই হোক, এটা তো আমরা পড়ে দেখব।’

তিনি বলেন, ‘এত জায়গা থাকতে তাকে একটা অন্ধকার  স্যাতসেতে ঘরে  খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে যাতে তিনি কষ্ট পান। এটা এক ধরনের নির্যাতন। কিন্তু এসব করে সরকার লাভবান হতে পারবে না। খালেদা জিয়াকে যতদিন কারাগারে রাখতে ততো দিন বিএনপির ভোট বাড়তেই থাকবে। প্রতি একদিনে আওয়ামী লীগের ৫ লাখ ভোট কমবে।’

বিজ্ঞাপন

নাগরিক আন্দোলন ফোরামের সভাপতি নাসির উদ্দীন হাজারির সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মোহম্মদ রহমত উল্লাহ, শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/আইজেকে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন