বিজ্ঞাপন

ফাইভজি গরিবের ঘোড়া রোগ নয়: জব্বার

October 16, 2019 | 9:16 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নতুন প্রজন্মের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ফাইভজি ‘গরিবের ঘোড়া রোগ’ নয় বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ফাইভজি অনেকের কাছে মনে হয়েছে গরিবের ঘোড়া রোগ। বিশেষজ্ঞ-বিজ্ঞানীরাও বলেছেন, গরিবের ঘোড়া রোগ। ১৯৯৭ সালে যখন আমরা স্যাটেলাইটের কথা বলছিলাম, তখনও বলা হয়েছে গরিবের ঘোড়া রোগ। কিন্তু ফাইভজি এখন বাস্তবতা। ফাইভজি ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুল্যুশনের মহাসড়ক।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন (আইইবি) মিলনায়তনে ‘ফাইভ জি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, ফাইভজি কেবল কথা বলার প্রযুক্তি নয়, ইন্টারনেটে ব্রাউজ করার প্রযুক্তি নয়, জীবনযাপনের ক্ষেত্রে ছোট্ট ঢেউ নয়। আমরা জানি না ফাইভজি প্রবর্তনের পর আমাদের দেশের জনগণ, শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কতভাবে কোন স্তরে ব্যবহার করবে। আমাদের মতো পশ্চাদপদ দেশের জন্য ফাইভজি অনিবার্য বিষয়।

তিনি বলেন, ফাইভজি ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুল্যুশনের মহাসড়ক। সে কারণে আমি পছন্দ করি আর না করি, আমার টুজি, থ্রিজি, ফোরজির কোয়ালিটি অব সার্ভিস কতটা উন্নত করতে করতে পারব, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমি ফাইভজির মহাসড়ক যথাসময়ে নির্মাণ করতে পারব কি না।

পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশ ফাইভজি নিয়ে তৎপর হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, খুব কম দেশের মধ্যে আমরা এরই মধ্যে ফাইভজির পরীক্ষা করে ফেলেছি, ৪ দশমিক ১৩ জিবিপিএস স্পিড পেয়েছিলাম। ফাইভজি ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে যেসব দেশে মানুষ কম, সেখানে যন্ত্র দিয়ে মানুষের কাজ করানো হবে। কিন্তু যেখানে মানুষ বেশি, সেখানে কী হবে। এটা কী আমাদের জন্য অভিশাপ না আশীর্বাদ— এটা নির্ভর করবে সহজ, সাবলীল ও পরিকল্পিতভাবে এর ব্যবহারের ওপর।

বিজ্ঞাপন

ফাইভজির চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জনগণ ছাড়াও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে আলোচনা করছি। গাইডলাইন তৈরি করতে হবে সবার মতামত নিয়ে। এটি এমনভাবে তৈরি করতে চাই যেন প্রত্যেকের কাছে ব্যবহার করে দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক, বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার আমিনুল হাসান, এরিকসন বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আব্দুস সালাম, হুয়াওয়ে বাংলাদেশের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার জেরি ওয়াং সু, গ্রামীণফোনের জেনারেল ম্যানেজার (এন্টারপ্রাইজ বিজনেস) রাশেদুল হাসান খানসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন