মাকসুদা আজীজ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর
আজ ভোর ৬টা ৩৩ যখন আকাশে কুসুম কমলা রঙের সূর্যটা উঠলো তখন থেকে শুরু হলো আমাদের বসন্তের দিন। আজ পহেলা ফাল্গুন। বাসন্তী বসনে সাজবার দিন।
প্রকৃতি থেকে শীত বিদায় নেওয়ার আয়োজন শুরু করেছে আরও কিছুদিন আগে থেকেই। এখন দিন বেশ বড়সড়, আজ যেমন ১১ ঘণ্টা ১৯ মিনিট সূর্য থাকবে আকাশে, এরপর বিকালে ৫টা ৫২ এ ডুবে যাবে।
দিন বড় হওয়ায় আলোতে তরতর করে বেড়ে উঠছে কচি পাতাগুলো। আমের ডালেও মুকুল লেগেছে। শিমুল পলাশ গাছে আগুন লেগেছে! এই লাল রঙের উষ্ণতা রাঙিয়ে যাবে আমাদের জীবনও। এখন অযথাই ভালো লাগবে। কেন? কারণ বসন্ত এসে গিয়েছে। একটা সজীব পাতা কী একটা উজ্জ্বল ফুল দিনকে আলোকিত করে ফেলবে। তাতেও যদি কমতি পড়ে। কোকিল তো আছে, কুহু কুহু করে ভালোবাসার আভরণে বাতাসকে সুখি করার জন্য।
এত সুখ উদযাপন করতে তো ঘর থেকে বের হতেই হবে। নাগরিক বসন্তের উদযাপনের মূল অনুষঙ্গই তো নাগরিকদের উদযাপন। হলুদ, কমলা, লাল, সবুজ বেশে যারা আজকে শহর দাপিয়ে বেড়াবেন তাদের আনন্দ যেন নষ্ট না হয় তাই ঢাকার আকাশে আজ অনেক অনেক মেঘ, ৯০ শতাংশেরও বেশি। এই মেঘ ভেদ করে সূর্যের আলো আসবে ঠিকই তবে রোদ লাগবে না একটুও! তাই আরামে রিক্সায় করে টুং টুং করে বেড়ানোয় কেউ ব্যাঘাত ঘটাতে পারবে না!
এদিকে দিনটা কিন্তু বেশ শুষ্কও, ৩৫ শতাংশ আর্দ্রতা যে! ঘাম হওয়ার আগেই শুকিয়ে যাবে। ফাগুন সাজ ম্লান করবে আজ কার সে সাধ্যি হ্যাঁ?
আর ফাগুন হাওয়া, সেও যে আজ অনুকূলেই। ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার বেগে বয়ে জানিয়ে দিবে ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় আজ বাঁধন ছেঁড়া প্রাণের শুধুই উড়ার দিন!
ভালোবাসার এই বসন্ত ফুলে ফুলে ভরে দিক আমাদের জীবন। শুভ হোক ফাল্গুনের প্রথম দিনটি।