বিজ্ঞাপন

খ্রিষ্টাব্দ ও বাংলা দিনপঞ্জির সমন্বয়, কার্তিকের প্রথম দিন আজ

October 17, 2019 | 12:45 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির (ইংরেজি ক্যালেন্ডার বা খ্রিষ্টাব্দ) সঙ্গে বাংলা বর্ষপঞ্জির তারিখগুলোর সমন্বয় করেছে বাংলা একাডেমি। মূলত জাতীয় দিবসগুলোকে মূল বাংলা তারিখে ফিরিয়ে আনতেই এই সমন্বয় করা হয়েছে। ফলে বদলে গেছে বাংলা দিনপঞ্জি। সেই হিসাবে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) কার্তিকের প্রথম দিন।

বিজ্ঞাপন

বাঙালি জাতির গৌরবময় দিনগুলো বাংলা ও গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জিতে একই তারিখে সমন্বয় করতেই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে এই সংস্কার আনা হয়েছে বলে বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে।

বাংলা একাডেমি সূত্র জানায়, বাংলা নতুন বর্ষপঞ্জি অনুসারে বৈশাখ থেকে আশ্বিন পর্যন্ত— এই ছয় মাস হবে ৩১ দিনে। এত দিন বৈশাখ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত পাঁচ মাস ৩১ দিন হিসাবে গণনা করা হতো। এছাড়া কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ ও চৈত্র— এই পাঁচ মাস হবে ৩০ দিন। আগে আশ্বিন থেকে চৈত্র— এই সাত মাস ছিল ৩০ দিনে। এখন ফাল্গুন মাস হবে ২৯ দিন এবং গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জিতে যে বছর অধিবর্ষ বা লিপইয়ার হবে সে বছর বাংলায় ফাল্গুন মাস ৩০ দিন গণনা করা হবে। আসছে ২০২০ খ্রিস্টাব্দ অধিবর্ষ বা লিপইয়ার। তাই ২০২০ সালে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে ফাল্গুন মাস হবে ৩০ দিন।

ক্যালেন্ডার সমন্বয়ের বিষয়টি স্বীকার করে বাংলা একাডেমির অভিধান ও বিশ্বকোষ উপবিভাগের কর্মকর্তা রাজীব কুমার সাহা বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সারাবাংলাকে জানান, ১৯৫২ সালে মহান ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় দিন ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল ৮ ফাল্গুন। কিন্তু সাধারণত ২১ ফেব্রুয়ারি পড়ত ৯ ফাল্গুন। একইভাবে মহান বিজয় দিবস ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ছিল পয়লা পৌষ, বাংলা পঞ্জিকায় দিনটি পড়ত ২ পৌষ। এছাড়া কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন ২৫ বৈশাখ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন ১১ জ্যৈষ্ঠ গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির সঙ্গে মিলত না। এই বিশৃঙ্খলা দূর করে দুই বর্ষপঞ্জির দিনগুলোর গণনা সমন্বয় করা হয়েছে। এখন থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি ৮ ফাল্গুন, স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ ১২ চৈত্র, বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর পয়লা পৌষ, রবীন্দ্রজয়ন্তী ৮ মে ২৫ বৈশাখ, নজরুলজয়ন্তী ২৫ মে ১১ জ্যৈষ্ঠ গণনায় অভিন্ন হবে। তবে বাংলা নববর্ষ অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ প্রতি বছরের মতই গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির ১৪ এপ্রিল পালিত হবে।

বিজ্ঞাপন

রাজীব কুমার আরও জানান, ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানকে আহ্বায়ক করে পঞ্জিকা সংস্কার কমিটি করা হয়। এর পর ২০১৬ সালে বর্ষপঞ্জির সংস্কার প্রস্তাব পাস হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৭ সালের ইংরেজি বর্ষপঞ্জির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বঙ্গাব্দ ১৪২৫ থেকে নতুন বর্ষপঞ্জি করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ওই সময়ও কমিটি কাজ শেষ করতে পারেনি। এর পর ২০১৮ সালকে টার্গেট করা হলেও সে বছরও সংশোধন বাস্তবায়ন করা যায়নি। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ায় ২০১৯ সালের সরকারি গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকায় ১৪২৫-১৪২৬ সালের নতুন সুপারিশ করা বাংলা সনের তারিখ সমন্বয় করা হয়।

সারাবাংলা/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন