বিজ্ঞাপন

বিদেশি ২য় শ্রেণির মডেল দিয়ে বিজ্ঞাপন বানানোর নিষেধাজ্ঞা আসছে

October 17, 2019 | 2:01 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে বিশ্বমানের মডেল থাকা সত্ত্বেও বিদেশি দ্বিতীয় শ্রেণির মডেল দিয়ে বিজ্ঞাপন বানানোর নিষেধাজ্ঞা আসছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে বিদেশি নাটক, সিনেমা প্রদর্শনেও নিষেধাজ্ঞা আনা হচ্ছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে কেবল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বিশ্বমানের মডেল থাকা সত্ত্বেও বিদেশি দ্বিতীয় শ্রেণির মডেল দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করা হচ্ছে। যা সমীচিন নয়। সেসব বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আসছে।

বৈঠকে বিদেশি নাটক, সিনেমা সম্প্রচারে বিধি নিষেধ আনার কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। জানান, এসব অনুষ্ঠান সম্প্রচারে করতে গেলে সেন্সর বোর্ডের অনুমতি নিতে হবে। বিদেশি অনেক নাটক ত্রিশ বছর ধরে প্রদর্শিত হয়ে থাকে তা ভিন্ন ভাষায় ডাবিংয়ের পর সেন্সর বোর্ডের অনুমতি ছাড়া প্রদর্শন সমীচীন নয়। বর্তমানে অনেক চ্যানেল অনুমতি ছাড়া প্রদর্শন করছে। দর্শক প্রিয়তা পাওয়ায় সেসব চলমান সিরিয়াল বিবেচনা করা হচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যতে অনুমতি ছাড়া প্রদর্শন করতে দেওয়া হবেনা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সকল অবৈধ ডিটিএইচ বা ডিরেক্ট টু হোম সংযোগ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। নিজ উদ্যোকে না সরালে এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ার দেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির ডিটিএইচ অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়। বিদেশি কোনো কোম্পানিকে এখানে ডিটিএইচ যন্ত্র বসিয়ে সম্প্রচারের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তাই ডিটিএইচ যারা ব্যবহার করছেন বা যাদের মাধ্যমে ব্যবহার করছেন, পুরোটাই অবৈধ।’

বাংলাদেশে কয়েক লাখ বিদেশি ডিটিএইচ সিস্টেম বিভিন্ন জায়গা লাগানো হয়েছে’ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, শুধু শহরে নয় গ্রামেও লাগানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। এটা বিদেশ থেকে কেনা হয়, বাংলাদেশের টাকা হুন্ডির মাধ্যমে যায়। এগুলো যারা ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে এক বছরের টাকা নিয়ে নেওয়া হয়। বিদেশি কোম্পানি হওয়ায় গ্রাহকদের কাছ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হয়। এভাবে দেশের সাতশ থেকে আটশ কোটি টাকার বেশি অর্থ বিদেশে পাচার হয়। এটি চলতে দেওয়া যাবেনা।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, যারা সংযোগ দিয়েছেন বা দিচ্ছেন এবং যারা গ্রহণ করছেন উভয় পক্ষকেই ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন অনুযায়ী এই অপরাধের শাস্তি অনধিক ২ বছর কারাদণ্ড, অনধিক এক লক্ষ টাকা বা অনূন্য ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড। আর একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা, অনূন্য ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন বিদেশি চ্যানেলে প্রচার বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখনো অব্যাহত আছে। আবার বিদেশি পন্যের বিজ্ঞাপন দেশি চ্যানেলে প্রচারও অবৈধ, এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার আরো কঠোর হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর সম্প্রচার মাধ্যমে শৃংখলা আনতে অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছেন। এখন ৯৮ শতাংশ টিভি সিরিয়াল মেনে সম্প্রচার করে। দেশে ৩৩টি টিভি সম্প্রচারে আছে আরো দশটি আসার অপেক্ষায়। আর সব টেলিভিশন ও ক্যাবল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল করতে হবে। ডিজিটাল না হওয়ার কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। ডিজিটাল হতে ঢাকা ও চট্টগ্রামকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/জেএএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন