বিজ্ঞাপন

পেঁয়াজের উচ্চমূল্য নিয়ে জেলা প্রশাসকের সভায় যাননি আমদানিকারকরা

October 17, 2019 | 3:02 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের ডাকা সভায় যাননি চট্টগ্রামের আমদানিকারকরা। তারা সভায় কেন যাননি এবং তারা ভিন্ন ঠিকানা ব্যবহার করে পেঁয়াজ আমদানি করছেন কি না সেটি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। একইসঙ্গে তিনি পেঁয়াজ বিক্রিতে অতিরিক্ত মুনাফা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এই মতবিনিময় সভা হয়েছে। সভায় আমদানিকারকরা না থাকলেও পেঁয়াজের পাইকারী আড়তদার ও কমিশন এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় চট্টগ্রামের পেঁয়াজ আমদানিকারকদের মধ্যে আটজনের নাম পাওয়া গেছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী চট্টগ্রামের আটজন আমদানিকারকের নাম পাওয়া গেছে। তাদের সভায় আমন্ত্রণ জানানো হলেও কেউই আসেন নি। তারা কেনো আসেননি এবং অন্য কোনো ঠিকানা ব্যবহার করে পেঁয়াজ আমদানি করছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। যদি তারা আমদানি করে থাকে তাদের খুঁজে বের করে অভিযান চালানো হবে।’

সভায় জেলা প্রশাসক পাইকারী ও খুচরা দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন বাধ্যতামূলক বলে মন্তব্য করে জানান, কমিশন এজেন্টরা কার কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনছে অবশ্যই সেটার রশিদ থাকতে হবে। কমিশন এজেন্টদের দোকানে অবশ্যই আমদানিকারকের নাম ফোন নম্বর ও রশিদ রাখতে হবে। প্রয়োজনে প্রশাসন ও মন্ত্রণালয় আমদানিকারকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজ নিয়ে অদৃশ্য ব্যবসা করা যাবে না। অদৃশ্য ব্যবসা মানে কালোবাজারি। এটা হলে অবশ্যই অ্যাকশন নেওয়া হবে। আমরা ব্যবসায়ীদের প্রতিপক্ষ নই, পরিপূরক। যখন মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে তখনই আমরা ব্যবস্থা নেই। অতি মুনাফা চাই না, কারও ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হোক সেটাও চাই না।’

পেঁয়াজ আমদানি প্রতিবন্ধকতামুক্ত করতে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। তিনি জানান, ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে নগর, জেলা ও মহাসড়কে পেঁয়াজের গাড়ি রাত-দিন যাতে চলতে পারে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পেঁয়াজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে খালাসের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ও টেকনাফ স্থলবন্দরকে অনুরোধ করা হচ্ছে।

অতি মুনাফার জন্য কেউ চট্টগ্রামমুখী পেঁয়াজের ট্রাক ফিরিয়ে দেওয়ার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

বিজ্ঞাপন

সভায় খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমদ, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ কাঁচা পণ্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, হামিদ উল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিচ, ক্যাবের নাজের হোসাইন ছিলেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম নগরীর খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের পাইকারি বাজারে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম। অভিযানের সময়ও আমদানিকারকরা গা-ঢাকা দিয়েছিলেন। পালিয়ে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন আড়তদার ও কমিশন এজেন্ট। অভিযানে মিয়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজের চালানে নিম্নমানের পেঁয়াজ আসার অজুহাত তুলে দাম বাড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ পায় প্রশাসন।

সারাবাংলা/আরডি/জেএএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন