বিজ্ঞাপন

বিশ্ব রেডিও দিবস আজ

February 13, 2018 | 12:18 pm

জামাল হোসেন বাপ্পা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব রেডিও দিবস। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় যন্ত্রটি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। অথচ এক সময় দেশ-বিদেশের খবর জানার একমাত্র মাধ্যমই ছিল রেডিও। কারও বাড়িতে একটি রেডিও থাকলে তার আলাদা খাতির করা হতো। অনেকে আবার বিয়ের সময় শ্বশুরবাড়ি থেকেও যৌতুক হিসেবে রেডিও নিতো। সে সময় কারো বাড়িতে একটি রেডিও থাকলে গ্রামের মানুষ দল বেঁধে জড়ো হতো খবর শুনতে। তবে কালের বিবর্তনে এখন রেডিও শোনার মানুষের সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে।

তবে এর ব্যতিক্রম হিসেবে এখনো কিছু মানুষ আছেন যারা খবর শুনতে রেডিও’র উপর নির্ভশীল। তাদেরই একজন বাগেরহাটের ডা. হরিপদ দত্ত জানান, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা খবর শোনার একমাত্র মাধ্যমেই ছিল রেডিও। যে খবর শুনে লাখ লাখ বাঙ্গালি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উজ্জ্বীবিত হয়েছিল। এ ছাড়া তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণও সরাসরি রেডিওতে শুনে লাখো বাঙ্গালি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল।’

রেডিও বাংলাদেশ খুলনার নিয়মিত শ্রোতা মো. আব্দুল জব্বার জানান, বিজ্ঞানের আবিষ্কারে ফলে অতি সহজেই মোবাইল ফোনে এফএম-এর মাধ্যমে আমরা রেডিও অনুষ্ঠানগুলো শুনতে পাই। ফলে নতুন করে আর রেডিও (বেতার যন্ত্র) কেনার প্রয়োজন পড়ে না। ফলে দিন দিন আমাদের সেই ঐতিহ্যবাহী রেডিও (বেতার যন্ত্র) হারিয়ে যেতে বসেছে।

বিজ্ঞাপন

মুক্তিযোদ্ধা শাহ-আলম মন্টু বিষয়টাকে একটু অন্যভাবে বললেন, ‘রেডিও’র গুরুত্ব এখনও কমে যায়নি। যাদের কাছে এটির গুরুত্ব থাকা প্রয়োজন তাদের কাছে এখনও এর যথাযথ গুরুত্ব রয়েছে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, এই স্বাধীন বাংলার স্বাধীনতার ঘোষণা আমরা রেডিও’র মাধ্যমেই শুনেছি।

সারাবাংলা/জেএইচ/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন