বিজ্ঞাপন

‘দুদকের মামলায় সাজার হার ৭০ শতাংশে উন্নীত’

October 20, 2019 | 6:38 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাজার হার প্রায় ৭০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২০ অক্টোবর) দুদক ও সিটিটিসি’র (কাউন্টার টেররিজম ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) উদ্যোগে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সপ্তাহব্যাপী যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি– কমিশনের সক্ষমতার কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। এটা কাটিয়ে ওঠার জন্যই কমিশনে একটি প্রশিক্ষণ অনুবিভাগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এখন দেশে-বিদেশে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদসহ তদন্তের প্রতিটি ধাপে পুলিশের জ্ঞান ভাণ্ডার সমৃদ্ধ। কমিশনের কর্মকর্তারা যাতে এই জ্ঞান শেয়ার করতে পারেন, তাই পুলিশের সিআইডি, সিটিটিসিসহ অন্যান্য সংস্থার সাথে যৌথভাবে প্রশিক্ষণের আয়োজনও করা হচ্ছে।’

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘তদন্তে দুর্বলতার কারণেই এক সময় কমিশনের মামলায় বিচারিক আদালতে সাজার হার মাত্র ২২ শতাংশে নেমে এসেছিল। বর্তমানে সেই হার বেড়ে প্রায় ৭০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অনেকেই কমিশনের সমালোচনা করেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময়ই সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। সমালোচনা থেকে আমরা শিক্ষাও গ্রহণ করি। দুদক একটি সক্রিয় প্রতিষ্ঠান, তাই এর সমালোচনা হবে- এটাই স্বাভাবিক। তবে সমালোচনা হতে হবে গঠনমূলক এবং বস্তনিষ্ঠ।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতি, জঙ্গি অর্থায়ন, সন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা সব অপরাধই একই সূত্রে গাঁথা। সিটিটিসি যেভাবে অপরাধ ঘটার আগেই তা থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, দুদক ঠিক একইভাবে দুর্নীতি ঘটার আগেই তা প্রতিরোধর চেষ্টা করছে। দুর্নীতি ঘটার আগেই যদি তা প্রতিরোধ করা যায়, তবে সেটাই উত্তম।’

পুলিশের সাথে কমিশনের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঘুষের টাকাসহ ঘুষখোরদের গ্রেফতার করতে পুলিশ যেভাবে সাহায্য করছে, ঠিক একইভাবে গভীর রাতে দুদকের মামালার আসামিদের গ্রেফতারেও তাদের ভূমিকা রয়েছে।’

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের অনুধাবন করতে হবে, আইন করা হয় তা মান্য করার জন্য, এনফোর্সমেন্ট হচ্ছে সর্বশেষ অস্ত্র। তাই আসুন, আমরা সবাই আইন মানি। তবেই সব অপরাধ কমে আসবে।’

বিজ্ঞাপন

সিটিটিসির প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ।

সারাবাংলা/এসজে/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন