বিজ্ঞাপন

সাঁওতাল পল্লীতে সংঘর্ষ : ১৪ মাস পর রমেশ টুডুর লাশ উত্তোলন

February 13, 2018 | 3:12 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্ধগঞ্জে সাঁওতাল পল্লীতে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিকদের সংঘর্ষে নিহত রমেশ ট্রুডোর মরদেহ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে ফের উত্তোলন করা হয়েছে। রমেশের মৃত্যুর কারণ জানতে দেহাবশেষ গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে পিবিআইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সৎকারের ১৪ মাস পর রমেশ টুডুর দেহাবশেষ তোলা হয়।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আখের খামারের জমি দখল নিয়ে ২০১৬ সালে আদিবাসী সাঁওতালদের সঙ্গে মিল শ্রমিক ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এসময় আদিবাসীদের তীঁরবিদ্ধ হয় ৯ পুলিশসহ ৩০ জন। গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রমেশ। পুলিশি প্রহরায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই আদিবাসী রমেশ টুডুর মৃতদেহ আদিবাসী পল্লীর সিংটাজুড়ি গ্রামে সৎকার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় গত ২৬ নভেম্বর থমাস হেমব্রম বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরিতে রমেশ টুডুর মৃত্যুর কারণ জানতে হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোটের নির্দেশে মামলাটি পিবিআই গাইবান্ধাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

আদালতের নির্দেশে ম্যাজিস্ট্রেট রাফিউল আলমের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার পিবিআই সিংটাজুড়ি গ্রাম থেকে রমেশ টুডুর লাশ উত্তোলন করে গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

সারাবাংলা/এমএইচ/একে

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন