বিজ্ঞাপন

স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা ছড়ালো গোলাপি সড়ক শোভাযাত্রা

October 21, 2019 | 10:30 am

রাজনীন ফারজানা

বাংলাদেশে বছরে সাড়ে ১২ হাজার নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। অন্যদিকে, সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি নারীকে প্রতিবছর স্তন ক্যানসারে মারা যেতে হয়। এ তথ্য জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা সংস্থা আইএআরসি। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্তন ক্যানসার প্রতিরোধযোগ্য।

বিজ্ঞাপন

প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করার পর চিকিৎসায় স্তন ক্যানসার ভালো হয়েছে— এমন উদাহরণ অসংখ্য। যত দ্রুত স্তন ক্যানসার শনাক্ত করে চিকিৎসা শুরু করা যাবে, এর আরোগ্যের সুযোগও তত বেশি থাকবে। কিন্তু আমাদের দেশে সামাজিক ট্যাবুর কারণেই নারী স্তনের কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসকের কাছে যান না। ফলে এই রোগ সহজে ধরাও পড়ে না। আবার ঘরে বসেই স্তন ক্যানসারের লক্ষণ নিজে নিজেই শনাক্ত করার উপায় থাকলেও তা জানা নেই বেশিরভাগ নারীরই।

গোলাপি সড়ক শোভযাত্রা

এমন প্রেক্ষাপটেই স্তন ক্যানসার সচেতনতার মাস অক্টোবরে দেশের ২১টি জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘গোলাপি সড়ক শোভযাত্রা’। মাত্র চার দিনের কর্মসূচি হলেও এই শোভাযাত্রায় প্রতিটি জেলাতেই বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত হয়েছে র‌্যালি ও পথসভা, কোথাও অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা। স্থানগুলোতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ বিষয়ে লিফলেট। দু’টি জেলায় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকা চিকিৎসকরা বিনা পয়সায় রোগীও দেখেছেন। বাংলাদেশ ব্রেস্ট ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস ফোরাম, ক্যানসার কমিউনিটি অনকোলজি ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, সিসিসি (সমাজভিত্তিক ক্যানসার সেবা কেন্দ্র) ও রোটারি মাল্টি ক্লাব (৬৮ টি রোটারি ক্লাব) যৌথভাবে আয়োজন করে এই শোভাযাত্রা কর্মসূচি।

বিজ্ঞাপন

গোলাপি সড়ক শোভযাত্রা

দেশের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে সব বয়সী নারীদের মধ্যে স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতার এই শোভাযাত্রা শুরু হয় ১১ অক্টোবর (শুক্রবার)। ‘শ্রেষ্ঠ খাবার মায়ের দুধই/সব শিশুকে তাই খাওয়াই,/স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাই’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এদিন সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে যাত্রা শুরু করে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুর, ফুলবাড়ি, হিলি, জয়পুরহাট, নওগাঁ, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর হয়ে সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকা ফেরে চিকিৎসক, নার্স, রোটারিয়ান ও সাংবাদিকদের দলটি।
গোলাপি সড়ক শোভযাত্রা

১৬ জনের এই দলে ছিলেন ঢাকা ক্যানসার ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও ক্যানসার এপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. হাবিবউল্লাহ তালুকদার রাসকীন, বারডেমের চিকিৎসক ও রোটারি ক্লাব অব ঢাকার রোজ ভেলের সভাপতি ডা. ফাইজা কামাল, সিসিপিআরের নির্বাহী পরিচালক মোসাররাত সৌরভ, হীলের প্রতিষ্ঠাতা জেবুন্নেসাসহ, সিসিপিআরের একজন চিকিৎসক ও সেবিকা, ক্যাপ (ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ফর উইমেন)-এর তিন সদস্য এবং পরিবেশবাদী ও রোটারি ক্লাবের কয়েকজন সদস্য।

বিজ্ঞাপন

গোলাপি সড়ক শোভযাত্রা

সাংবাদিক হিসেবে সারাবাংলার পক্ষ থেকে এই গোলাপি শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল এই প্রতিবেদকের। চার দিনের ঝটিকা সফরে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার কোনোটিতেই খুব বেশি সময় কাটানো না হলেও এটুকু স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি, স্তন ক্যানসার নিয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতার মাত্রা খুব বেশি নয়। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে এ নিয়ে। সরকারিভাবেও নিয়মিত স্তন ক্যানসার নিয়ে প্রচারণা চালানো হলে প্রতিরোধযোগ্য রোগটির প্রকোপ অনেকটাই কমে আসবে।

১১ অক্টোবর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে রওনা দিয়ে গোলাপি শোভাযাত্রার প্রথম কর্মসূচি ছিল টাঙ্গাইলে। ব্যানার প্রদর্শন, লিফলেট বিতরণ ও মৌখিকভাবে পথচলতি মানুষদের মধ্যে স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতামূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দেওয়া হয় এখানে। এরপর প্রথম পথসভা অনুষ্ঠিত হয় সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনের স্বধীনতা স্কয়ারে। রোটারি ক্লাব অব সিরাজগঞ্জের আয়োজনে সেখানে লিফলেট বিতরণের পাশপাশি প্রতিনিধি দলের সদস্যরাসহ স্থানীয় আয়োজকরাও স্তন ক্যানসারের ভয়াবহতা ও এ নিয়ে সচেতনতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এরপর একইরকম সংক্ষিপ্ত একটি পথসভা ছিল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জেও।
গোলাপি সড়ক শোভযাত্রা

গোলাপি শোভাযাত্রা কর্মসূচিতে গাইবান্ধার পরের জেলাটি ছিল বগুড়া। সেখানকার স্থানীয় রোটারি ক্লাবের আয়োজনে শোভাযাত্রার পাশাপাশি আলোচনা সভার আয়োজন ছিল তহুরুননেসা মহিলা সংসদ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মিলনায়তনে। আলোচনায় রোটারি ক্লাব অব বগুড়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. মনসুর রহমান বলেন, স্তন ক্যানসারের লক্ষ্মণগুলো যত তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা যাবে, তত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হবে। তাতে করে স্তন ক্যানসারে মৃত্যুর হারও কমানো সম্ভব। চিকিৎসক লুতফুর রহমান বলেন, স্তন ক্যানসার একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। আর এর প্রতিরোধ শুরু হবে সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে।
গোলাপি সড়ক শোভযাত্রা

বিজ্ঞাপন

ঢাকার প্রতিনিধি দলের ডা. ফাইজা কামাল, রোটারিয়ান ইকবাল, ডা. হাবিবউল্লাহ তালুকদার রাসকীনসহ অন্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে যারা ক্যানসারে আক্রান্ত, তাদের মধ্যে স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। এছাড়া চিকিৎসকদের কাছে যত নারী রোগী আসেন, তাদেরও বেশিরভাগই স্তন ক্যানসার ও জরায়ু মুখের ক্যানসারে আক্রান্ত।

বগুড়ার আলোচনা সভা শেষেই গোলাপি শোভাযাত্রার দলটি রওনা হয় রংপুরের উদ্দেশে। সেখানে সংক্ষিপ্ত একটি পথসভা শেষে দিনাজপুর পৌঁছাতে পৌঁছাতে রাত হয়ে গেলে শেষ হয় প্রথম দিনের কর্মসূচি।

পরদিন ১২ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টায় স্তন ক্যানসার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে চিকিৎসক ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি র‌্যালি বের হয়। দিনাজপুর হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল থেকে শুরু করে র‌্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ করে। এরপর সকাল ১১টায় জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনের সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। খুরশীদ জাহান হক ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চ অ্যান্ড হাসপাতাল ও দিনাজপুর কেয়ার নার্সিং কলেজের আয়োজনে আলোচনা সভায় ঢাকার প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখন থেকে প্রতিমাসে একবার করে দিনাজপুর সফরের চেষ্টা করবেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞরা। কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার থেকে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তারা।

গোলাপি সড়ক শোভযাত্রা

অনুষ্ঠানে দিনাজপুর কেয়ার নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ জেরিনা খাতুন ঢাকা থেকে আগত অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ক্যানসার চিকিৎসা যথেষ্ট ব্যয়বহুল। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যানসার ধরা পড়লে মৃত্যু ঝুঁকি কমে যায়। তিনি উপস্থিত নার্সদের বলেন, মায়েরা যেন সন্তানদের বুকের দুধ খাওয়ান— এটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিতে হবে। বুকের দুধ না খাওয়ালে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়, সে বিষয়েও তারা যেন সবাইকে সচেতন করেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় রোটারি ক্লাবের সদস্য ও চিকিৎসকদের একটি দলও উপস্থিত ছিল।

গোলাপি সড়ক শোভযাত্রা

দিনাজপুর শহরের পর ফুলবাড়ীতে আরও একটি পথসভার আয়োজন ছিল। সেখানে র‍্যালি ও লিফলেট বিতরণের পর শোভাযাত্রার টিমটি চলে যায় সীমান্তবর্তী হিলিতে। ভারত-বাংলাদেশ সীমানায় সংক্ষিপ্ত সচেতনতা বক্তব্য ও লিফলেট বিতরণ শেষে জয়পুরহাটের উদ্দেশে রওনা দেয় দলটি।

গোলাপি সড়ক শোভযাত্রা

জয়পুরহাটে সন্ধ্যার পর পৌঁছালেও স্থানীয় জনগণের মধ্যে স্তন ক্যানসার নিয়ে জানার আগ্রহ দেখা যায়। সেখানকার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছাড়াও স্থানীয় শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ শোভাযাত্রায় এসে লিফলেট সংগ্রহ করে নিয়ে যান নিজেরা বিতরণ করার জন্য। তারা জানান, প্রত্যেকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে কাজ করবেন।

গোলাপি শোভাযাত্রার দলটি যখন নওগাঁ পৌঁছায়, তখন প্রায় রাত ১০টা। মফস্বল শহর হিসেবে সেটা অনেক রাত হলেও সেখানেও সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মেলে। সেখানে সংক্ষিপ্ত পথসভায় ছিল উৎসুক মানুষের ভিড়। তারাও নিজেরা বিতরণের জন্য লিফলেট সংগ্রহ করেন। সেখান থেকে গভীর রাতে রাজশাহী পৌঁছালে শেষ হয় দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি।

গোলাপি সড়ক শোভযাত্রা

তৃতীয় দিন গোলাপি শোভযাত্রার কর্মসূচি শুরু হয় রাজশাহী শহরে লিফলেট বিতরণ ও সংক্ষিপ্ত সচেতনতা বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে। পরে রাজশাহী ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ট্রাস্টে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে ঈশ্বরদীতে সংক্ষিপ্ত পথসভা, লিফলেট বিতরণ ও সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদানের পরে গন্তব্য ছিল কুষ্টিয়া। সেখানে দু’টো অনুষ্ঠান ছিল— কুষ্টিয়া শহরে সংক্ষিপ্ত লিফলেট বিতরণ ও ব্যানার প্রদর্শন, এরপর কুষ্টিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্যাপ (ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ফর উইমেন)-এর আয়োজনে আলোচনা সভা। সেখানে ক্যানসার সচেতনতা তৈরিতে তরুণদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে তাদের কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন ও প্রশংসা জানান চিকিৎসক ও অন্যরা।

গোলাপি সড়ক শোভযাত্রা

কুষ্টিয়ার পর ঝিনাইদহে সংক্ষিপ্ত পথসভা শেষে রাতে যশোর পৌঁছে গোলাপী সড়ক শোভাযাত্রা। সেখানে রোটারি ক্লাবের আয়োজনে বিনা পয়সায় রোগী দেখেন ঢাকার চিকিৎসকরা। এছাড়া পথসভা, লিফলেট বিতরণ, ব্যানার প্রদর্শন ও সচেতনতা বক্তব্য কর্মসূচি তো ছিলই। এসব কার্যক্রম শেষ হতে হতে রাত হয়ে গেলেও সে রাতেই খুলনা পৌঁছে রাতের বিরতি নেওয়া হয়।

 

গোলাপি সড়ক শোভযাত্রা

গোলাপি শোভাযাত্রার শেষ দিন ১৪ অক্টোবরের কর্মসূচি শুরু হয় সকালে খুলনা হাদিস পার্ক থেকে স্থানীয়দের অংশগ্রহণে একটি র‌্যালির মাধ্যমে। র‌্যালি থেকে লিফলেট বিতরণসহ হ্যান্ড মাইকের সাহায্যে জনসচেতনতা তৈরি করতে বক্তব্য দেওয়া হয়। অন্যদিকে চিকিৎসকের একটি দল গাজী মেডিকেলে বিনা পয়সায় রোগী দেখেন। পরে সেখান থেকে দুপুরে বাগেরহাট পৌঁছালে সেখানেও লিফলেট বিতরণ করা হয় স্থানীয়দের মধ্যে, প্রচার করা হয় সচেতনতামূলক বক্তব্যও। তাতেও যথেষ্ট সাড়া পাওয়া যায় স্থানীয়দের কাছ থেকে।

বিকেলে গোপালগঞ্জের গোবরায় একটি সংক্ষিপ্ত পথসভা শেষে ফরিদপুর পৌঁছাই রাতে। সেখানে রোটারি ক্লাবের আয়োজনে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে আরও একটি পথসভায় অংশ নেওয়া হয়। সেখানে স্থানীয় রোটারি ক্লাবের সদস্যরাও ছিলেন। সেখানেও স্তন ক্যানসারে মৃত্যু রুখতে সচেতন হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরা হয় ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।

গোলাপি সড়ক শোভযাত্রা

ফরিদপুরের কর্মসূচি শেষ হতে অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জে নির্ধারিত শোভাযাত্রা কর্মসূচি স্থগিত রেখে ঢাকার পথে রওনা হয়ে ভোরে ঢাকায় পৌঁছায় গোলাপী সড়ক শোভাযাত্রা।

চার দিনের এই সচেতনতা সফরে জেলা বা বিভাগীয় সদর ছাড়াও উপজেলা পর্যায়েও পৌঁছায় গোলাপী সড়ক শোভাযাত্রার দলটি। আয়োজকদের অন্যতম ও সংগঠক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকীন বলেন, আমাদের দেশে দেখা যায় নারীরা নিজেদের স্বাস্থ্যের ব্যপারে উদাসীন থাকেন। তাই স্তনে কোনো টিউমার বা অন্য কোনো সমস্যা থাকলে সেটা তারা উপেক্ষা করেন। সব টিউমারই ক্যানসার না, কিন্তু সব ক্যানসারই টিউমার। তাই স্তনে কোনো টিউমার বা লক্ষণীয় পরিবর্তন এলেই চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হতে হবে। এটুকু নিশ্চিত করা গেলে স্তন ক্যানসার অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতেই আমরা এই শোভাযাত্রার আয়োজন করেছি।

ডা. রাসকীনের নিজের হাতে লেখা একটি লিফলেটে সহজ করে স্তন ক্যানসারের লক্ষণ, কারণ ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জানা যাবে। এই লিফলেটটা দেখে যে কেউই নিজের স্তন পরীক্ষা করতে পারবেন। কোনো অস্বাভাবিকতা দেখলে কোথায় যোগাযোগ করবেন, সে তথ্যও আছে লিফলেটটিতে।

সারাবাংলা/আরএফ/টিআর

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন