বিজ্ঞাপন

ছবিতে ছবিতে ভারত বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস [ফটো স্টোরি]

October 22, 2019 | 7:07 pm

দ্য পাওয়ার অব ওয়ান— প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আয়োজিত হয় ‘ভারত বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানের আসর। সিনেমার মাধ্যমে দুই বাংলাকে এক ছাদের নীচে নিয়ে আসাটাই এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে ভারত থেকে দেড় শ’ জন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ঢাকার মাটিতে পা রাখেন।  এরমধ্যে ছিলেন অভিনয়শিল্পী, পরিচালক, চলচ্চিত্র প্রযোজক।

উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অনেক অভিনয়শিল্পীরাও। দুই বাংলার তারকারা একমঞ্চে উঠে একসাথে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মূল অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে রেড কার্পেটে গণমাধ্যমের সামনে নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন দুই বাংলার তারকারা। নানা সাজে তারা ধরা দেন ক্যামেরার সামনে।

বিজ্ঞাপন

তারকাদের রেড কার্পেটের রঙিন মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দী করেছেন সারাবাংলার স্পেশাল ফটো করেসপন্ডেন্ট আশীষ সেনগুপ্ত ।

ওমর সানি-মৌসুমী দম্পতি মনে করেন, বিবিএফএ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুই বাংলার চলচ্চিত্র অনেকদূর এগিয়ে যাবে। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন তারা।

বিজ্ঞাপন

টালিগঞ্জ চলচ্চিত্রের স্তম্ভ প্রসেনজিৎ ও জিৎ। কলকাতা থেকে উড়াল দিয়ে এসেছিলেন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে। তারা দু’জন ছিলেন আয়োজনের মধ্যমনি।

সেই নব্বই দশক থেকে ঢাকায় আসা–যাওয়া করছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সেকারণে বাংলাদেশ তার আত্মার সাথে মিশে আছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনিও মনে করেন, দুই বাংলা এক সাথে মিলেমিশে কাজ করা উচিত।

বিজ্ঞাপন

বিদ্যা সিনহা মীম বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। এদিন তিনি তার অভিনীত গানের সাথে স্টেজে নাচ পরিবেশন করেন। মিম বিশেষ জুরি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।

দুই বাংলায় সমানতালে কাজ করছেন জয়া আহসান। বলা যায়, ইদানিংকালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের ছবিতে বেশি সময় দিচ্ছেন। অভিনয় করছেন নামজাদা সব পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীদের সাথে। বিবিএফএ অনুষ্ঠানে তিনি তার অভিনীত ও প্রযোজিত ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী ও প্রযোজকের পুরস্কার পান।

পুরস্কার প্রদানের ফাঁকে মনোমুগ্ধকর গান পরিবেশন করেন নিকিতা গান্ধী। খানিক সময়ের জন্য তিনি দর্শকদের সুরের ভেলায় ভাসিয়ে নিয়ে যান। নিকিতা গান্ধী সেরা কণ্ঠশিল্পীর (ভারত) অ্যাওয়ার্ড  জিতে নেন।

এবারই প্রথম বাংলাদেশে এলেন ‘ব্যোমকেশ বক্সী’খ্যাত অভিনেতা আবির চ্যাটার্জী। বাংলাদেশের আতিথেয়তায় তিনি মুগ্ধ। বাংলাদেশে বারবার আসতে চান তিনি।

দেশে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ববি এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তার বিশ্বাস, বিবিএফএ’র মধ্য দিয়ে দুই বাংলার প্রযোজকরা আগ্রহী হবেন সিনেমা প্রযোজনা করতে।

সৃজিত মুখার্জী সেরা পরিচালকের পুরস্কার জেতেন। এর আগে তিনি অনেকবার বাংলাদেশে এসেছেন। ঘুরে বেরিয়েছেন নানা জায়গায়। এদেশের অনেকের সাথে রয়েছে তার সখ্যতা।

ভারতীয় চলচ্চিত্রের ‍দুই শক্তিমান কমেডি অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু ও শুভাশীষ মুখার্জী। ভারতের পাশপাশি তারা দু’জনই বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়।

অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করে মাতিয়ে রাখেন মীর আফসার আলী। বাংলাদেশ তার কাছে ভালোলাগার একটি জায়গা। উপস্থাপনার সময় তাই বারবার বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন তিনি।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী আলমগীর ও কবরী বাংলাদেশ জুরি বোর্ডের অন্যতম দুই সদস্য ছিলেন। আলমগীর ছিলেন জুরি বোর্ডে সভাপতি।

জিৎ ও নুসরাত ফারিয়া— একসাথে তিনটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সিনেমায় তাদের রসায়ন দেখা গেল রেড কার্পেটে। তাই দু’জনকে একসাথে দেখে ফ্রেমবন্দী করতে মিস করেননি ফটোগ্রাফাররা।

বিশ বছর পর ঢাকার মাটিতে পা রাখেন কিংবদন্তী অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক। তাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননা পেয়ে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

শবনম ফারিয়া, সিয়াম আহমেদ ও পূজা চেরীও দাঁড়িয়েছিলেন রেড কাপের্টে। জানিয়েছেন নিজেদের ভালোলাগার কথা। সিয়াম সেরা অভিনেতার পুরস্কার অর্জন করেন।

অভিনয়ের জন্য কয়েক বছর ধরে ঢাকায় আসছেন রজতাভ দত্ত। তবে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের জন্য এবারই প্রথম এলেন। মঞ্চে উঠে বিজয়ীর হাতে পুরস্কারও তুলে দিয়েছেন তিনি।

সেরা সঙ্গীত পরিচালক হন হৃদয় খান। কোনাল অর্জন করেন সেরা নারী কণ্ঠশিল্পীর পুরস্কার আর ইমরান সেরা পুরুষ কণ্ঠশিল্পীর পুরস্কার জেতেন।

স্টেজ মাতাতে কলকাতা থেকে ঢাকার প্লেন ধরেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। হিন্দি গানের সাথে কোমর দুলিয়ে তিনি মুগ্ধ করেন অনুষ্ঠানে আগত সবাইকে।

যৌথভাবে সেরা চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার পান পরমব্রত চট্টেপাধ্যায়। তিনি বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। ওয়েব সিরিজেও দেখা গিয়েছে তাকে।

দুই বাংলায় তুমুল জনপ্রিয় নায়ক প্রসেজনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি মনে করেন, দুই বাংলা এক হলে ‘বাহুবলী’র মতো বিশাল বাজেটের সিনেমা বানানো সম্ভব। তিনি মনে করেন, বাংলার কোনো ভাগ হয় না। বাংলা এক। পানি কাটলে যেমন দুইভাগ হয় না,তেমন।

গৌতম ঘোষ ভারতীয় অংশের জুরি বোর্ডের সভাপতি। বাংলাদেশে এই গুনী পরিচালকের গ্রহণযোগ্যতা  আছে। বেশ কয়েকটি যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণ করে বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন।

পাওলি দাম জিতে নেন সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। তিনি এর আগে একটি বাংলাদেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। হাসিবুর রেজা কল্লোল পরিচালিত ‘সত্তা’ ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হন।

রুন্দ্রনীল ঘোষ অর্জন করেন বিশেষ জুরি অ্যাওয়ার্ড। তার মতে, বিবিএফএ ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তৈরি করবে।


আরো পড়ুনঃ  যারা পেলেন ভারত বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ডস


 

সারাবাংলা/আরএসও/এএসজি

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন