বিজ্ঞাপন

নুসরাত হত্যা মামলার আসামিদের কনডেম সেলে স্থানান্তর

October 26, 2019 | 2:35 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ফেনী: ফেনীর সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কনডেম সেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। মামলার অন্যতম আসামি ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা, ওই মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি, মাদরাসার কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন সেই কনডেম সেলে। জানা গেছে, ১৬ আসামির মধ্যে পুরুষ ১৪ জনকে রাখা হয়েছে আটটি সেলে। আসামি বাকি দুই নারীকে রাখা হয়েছে ওয়ার্ডে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবর (২৪ অক্টোবর) নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এরপর আদালত থেকে ফিরিয়ে আনার পরই কনডেম সেলে পাঠানো হয়েছে আসামিদের।

ফেনী জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল কাদের সারাবাংলাকে বলেন, আদালত থেকে আসার পর ১৪ জনকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। কামরুন নাহার মনি ও উম্মে সুলতানা পপিকে ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

রফিকুল কাদের আরও বলেন, জেলা কারাগারগুলোতে আলাদা করে কনডেম সেলের ব্যবস্থা নেই। তবে এখানে ১০ জনের জন্য সাধারণ সেল রয়েছে। যখনই কোনো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আসে, তখন এই সেলগুলোকেই কনডেম সেল ঘোষণা করে তাদের সেখানে রাখা হয়।

বিজ্ঞাপন

ফেনী জেলা কারাগারের এই তত্ত্বাবধায়ক জানান, আগামী রোববার (২৭ অক্টোবর) রায়ের কপি পেলে আসামিদের কোথায় পাঠানো হবে, সে বিষয়ে জানতে আইজি প্রিজনের কাছে আবেদন করা হবে। পরে তার সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী উপযুক্ত কারাগারে পাঠানো হবে তাদের।

এদিকে, নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর থেকেই স্থানীয়রা রায় কার্যকরের বিষয়ে জানতে চাইছেন। এ বিষয়ে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু জানান, এটি নিম্ন আদালতের রায়। এরপর এই রায় হাইকোর্টে যাবে। রাষ্ট্রপক্ষ, বাদী পক্ষ ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখতে পারেন অথবা নতুন রায় দিতে পারেন। সেই রায়ের ওপর আবার যেকোনো পক্ষই আপিল করতে পারেন আপিল বিভাগে। সেখানে শুনানির পর চূড়ান্ত রায় ও রিভিউসহ আরও কিছু আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। এর পরই কেবল দণ্ড কার্যকরের বিষয়টি আসবে। উচ্চ আদালতে বিচারিক প্রক্রিয়ায় কোনো সময় বেঁধে নেওয়া নেই বলেও জানান এই আইনজীবী।

শাহজাহান সাজুসহ স্থানীয় অন্য আইনজীবীরা বলছেন, নিম্ন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, তা অব্যাহত থাকলে উচ্চ আদালত থেকেও চূড়ান্ত রায় পেতে দেরি হবে না।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন