বিজ্ঞাপন

চলতি অর্থবছরে পদ্মা সেতু প্রকল্পে এডিপির বরাদ্দ কমছে

February 13, 2018 | 9:31 pm

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: দেশের বহুল আলোচিত পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ কমছে। বাস্তবায়িত অংশের কাজে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ব্যয় না হওয়ায় মূল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে এ বরাদ্দ কমানো দেওয়া হচ্ছে।

সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ ধরা হচ্ছে ৪ হাজার ৭০৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ফলে কমে যাচ্ছে ৮২১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার প্রকল্পটির পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাস্তবতা মানতেই হবে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী খরচ করতে পারিনি বলেই তো কমাতে হচ্ছে। তবে এই অংক মোট বরাদ্দের সামান্য।’

বিজ্ঞাপন

মো. শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘পাইলিং এর জন্য নতুন ডিজাইন করতে হচ্ছে। শুধু পাইলিং এর দোষ দেব না। অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রেই কিছু কিছু কাজ করা যাবে না। তাই এই অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে না।  এটি স্বাভাবিক বিষয়। পাইলিং নিয়ে যখন সমস্যা হয়েছিল তখন তো আমরা জাতিকে জানিয়েছি। এটা লুকানোর কোনো বিষয় নয়। সেই বরাদ্দ কিছুটা কমছে, সেটিও স্বাভাবিকভাবেই নিতে হবে।’

সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে থাকা (ফার্স্ট ট্র্যাক) প্রকল্পগুলোর মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে পদ্মা সেতু প্রকল্পটি। বিশ্বব্যাংকের কারণে অর্থায়ন জটিলতায় এমনিতেই সেতুর কাজ দুই বছর পিছিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সরকার নিজস্ব অর্থেই সেতুটি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে অনেকটাই সফলও হয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যেই সফলভাবে স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।

প্রকল্পটির কাজে অর্থ যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেদিক বিবেচনায় চলতি অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়  ৫ হাজার ৫২৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এ বরাদ্দের বিপরীতে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত  অর্থবছরের ছয় মাসে ব্যয় হয়েছে ৬২৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ ছাড়া শুরু থেকে  ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৪ হাজার ৬৩০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘ফার্স্ট ট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং কমিটি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী ডিসেম্বর পর্যন্ত মূল পদ্মা সেতু কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫৩ শতাংশ। এ ছাড়া পদ্মা নদী শাসন কাজ হয়েছে ৩৪ দশমিক ৪০ শতাংশ। জাজিরা প্রান্তে এপ্রোচ রোডের কাজ ৯৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ, মাওয়া প্রান্তে এপ্রোচ সড়কের ১০০ ভাগ, সার্ভিস এরিয়া-২ এর কাজ ১০০ ভাগ শেষ হয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটির সার্বিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে  ৫০ শতাংশে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জানুয়ারি মাস থেকেই চলতি অর্থবছরের এডিপি সংশোধনের কাজ করছে পরিকল্পনা কমিশন। মূল এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তা অংশে বরাদ্দ ছিল ৫৭ হাজার কোটি টাকা। সেখান থেকে ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা কমিয়ে ৫২ হাজার ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চৃড়ান্ত করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। সরকারি তহবিল ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর বরাদ্দ কমানো হবে না বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। সব মিলিয়ে এ অর্থবছর সংশোধিত এডিপির আকার হতে পারে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। মূল এডিপির আকার রয়েছে  প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা।

সারাবাংলা/জেজে/আইজেকে

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন