বিজ্ঞাপন

দুর্ব্যবহার নয়, শৃঙ্খলা রক্ষায় মঞ্চ থেকে নামতে বলেছি: নাছির

October 27, 2019 | 9:35 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সাবেক মেয়র ও প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিনকে সভামঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৭ অক্টোবর) রাতে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন টেলিফোনে সারাবাংলাকে বলেন, ‘কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়নি। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষায় মঞ্চ থেকে নামতে বলা হয়েছিল। দলের শৃঙ্খলা সবাইকে মানতে হবে। তাহলে দল সুশৃঙ্খল ও গতিশীল হবে। নেতাকর্মীদের পরস্পরের মধ্যে সহমর্মিতা বাড়বে, শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হবে।’

এর আগে রোববার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৬টি জেলার সাংগঠনিক প্রতিনিধি সম্মেলন চলছিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সম্মেলনের মঞ্চে চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে হাসিনা মহিউদ্দিন বসেছিলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক আ জ ম নাছির উদ্দীন মঞ্চে বসা হাসিনাকে নামিয়ে দেন, যা দেখে মেয়রের কাছে গিয়ে প্রতিবাদ করেন নগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর ও নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলায় এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর মেয়র নাছির বলেন, ‘গত (শনিবার) রাতে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা বসে সিদ্ধান্ত নেন মঞ্চে কারা বসবেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে- কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, মন্ত্রিবর্গ, দলের সংসদ সদস্য এবং ৬ জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সকল সহ-সভাপতিবৃন্দ মঞ্চে বসবেন।এর বাইরে সবাই বসবেন মঞ্চের সামনে দর্শকসারিতে। কারা কারা বক্তব্য দেবেন সে বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।’

‘সভা শুরুর পর কারা মঞ্চে বসবেন সেটা আমি সঞ্চালক হিসেবে বারবার ঘোষণা দিয়েছি। আমি বারবার সবার কাছে সহযোগিতা চেয়ে বলেছি যে- আমরা সুশৃঙ্খলভাবে সভা শেষ করতে চাই। এরপরও কেউ কেউ মঞ্চে উঠেছেন। আমি কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করিনি, অসৌজন্যমূলক আচরণও করিনি। শুধু অনুরোধ করে মঞ্চে কারা বসবেন- সেটা নিয়ে সিদ্ধান্তটা উনাদের জানিয়েছি।’

হাসিনা মহিউদ্দিনের বিষয়ে মেয়র নাছির বলেন, ‘মহিউদ্দিন ভাই আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রয়াত নেতা। এখানে মহিউদ্দিন ভাইকে টেনে আনা সমীচীন নয়। অহেতুক খোঁচা দেওয়াও সমীচীন নয়। এটা সাংগঠনিক শৃঙ্খলার বিষয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছেলেমেয়ে আছেন, উনারা কি মঞ্চে গিয়ে বসে থাকেন? ওবায়দুল কাদের ভাই আমাদের দলের সেক্রেটারি, উনারও ভাইবোন আছেন। উনারা কি মঞ্চে গিয়ে বসে থাকেন? আমাদেরও ভাইবোন আছেন, তারা কি মঞ্চে ওঠেন?’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা খুব সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিনিধি সম্মেলন সম্পন্ন করেছি। কোনো স্লোগান-পাল্টা স্লোগান ছিল না। ন্যূনতম বিশৃঙ্খলা ছিল না। কেন্দ্রীয় নেতারা যারা এসেছেন, সবাই বলেছেন অনেকদিন পর একটি সুশৃঙ্খল সভা চট্টগ্রামে হয়েছে।’

২০১৩ সালে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে সভাপতি এবং আ জ ম নাছির উদ্দীনকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয় কেন্দ্র থেকে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মহিউদ্দিনের মৃত্যুর পর মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে মহিউদ্দিন এবং নাছির পরস্পর বিপরীত মেরুতে ছিলেন। মহিউদ্দিনের মৃত্যুর পরও চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের একাংশ তার অনুসারী পরিচিতি নিয়ে রাজনীতি করছে।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন