বিজ্ঞাপন

এরকম বহু ভাষণ আমার শোনা আছে, মেনন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা

October 29, 2019 | 10:02 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি— বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এরকম বহু ভাষণ আমার শোনা আছে। বলে তো আপনাদের ভালো করেছে, লেখার একটা কিছু খোরাক পাচ্ছেন। না হলে তো কিছুই পেতেন না।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। ১৮তম ন্যাম সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে আজরবাইজানে চার দিনের সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুন- বক্তব্যের জন্য দুঃখিত মেনন, জবাবে খুশি ১৪ দল

রাশেদ খান মেননের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, উনি সবসময় এরকম। সেই ছাত্রজীবন থেকে আমরা একসঙ্গে রাজনীতি করে আসছি। সত্তরের নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, ভোটের বাক্সে লাথি মার, বাংলাদেশ স্বাধীন কর। ভোটের বাক্সে লাথি মারলে বাংলাদেশ কোনোদিন স্বাধীন হতো না। আবার যখন ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি হলো (স্থলসীমা চুক্তি), তখন বললেন, বেরুবাড়ি বেঁচে দিলো, বেরুবাড়ি বেঁচে দিলো। এরকম বহু ভাষণ আমার শোনা আছে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- ‘মেননের বক্তব্যের পর উচিত ছিল সংসদ ভেঙে দেওয়া’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের বক্তব্যের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের একজন নেতা বলে ফেলেছেন? হ্যাঁ, তার তো মনে একটা দুঃখ হতেই পারে। কারণ তিনি জেনে হোক, অজান্তে হোক বা যেভাবেই হোক— কোনো এক ক্লাবের তাকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে, এলাকার সংসদ সদস্য হিসেবে। স্বাভাবিকভাবে যখন কিছু তথ্য এসেছে, তিনি কিছু কথা বলেছেন। তিনি ভুলে গেছেন যে তিনিও নির্বাচন করে জয়ী হয়ে এসেছেন। নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার নির্বাচিত হয়ে আসাটাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। সেটা তখন তিনি বুঝে বলেছেন নাকি না বুঝে বলেছেন— তা আমি জানি না।

আরও পড়ুন- মেননকে ড. কামালের ধন্যবাদ

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ২০১৮’র নির্বাচন নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলতে চেষ্টা করেছে। আমার এখানেই একটাই প্রশ্ন— জনগণ যদি ভোটেই না দিত, আর জনসমর্থন যদি আমাদের পক্ষে না থাকত, তাহলে কিভাবে আমরা ক্ষমতায় আছি? ১৫ ফেব্রুয়ারি (১৯৯৬ সালের) খালেদা জিয়া ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছিলেন, যার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছি। জনগণ ভোট দিতে পারেনি, আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। দেড় মাসের মধ্যে খালেদা জিয়াকে পদত্যাগে বাধ্য করেছিল জনগণ। এই নির্বাচনে (একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) মানুষ ভোট না দিতে পারলে তারা সেরকম আন্দোলন গড়ে তুলতে পারত। তারা তো সেটাও পারেনি। কারণ জনমত শুধু না, ২০১৮ সালের নির্বাচনে দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, সব শ্রেণিপেশার মানুষ, এমনকি সব সরকারি প্রতিষ্ঠানও যেভাবে আমাদের সমর্থন দিয়েছে, এটা বাংলাদেশের জন্য একটা অভূতপূর্ব ঘটনা।

আরও পড়ুন- মন্ত্রিত্ব না পাওয়ার আক্ষেপ থেকেই এমন বক্তব্য মেননের: কাদের

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টি। সে অনুযায়ী দলটির সভাপতির বক্তব্য নিয়ে ১৪ দলে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ১৪ দল বসেছে, ১৪ দল থেকে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাকে নাসিম ভাই জিজ্ঞাসা করেছেন, আপনার কোনো মতামত আছে কি না। আমি বলেছি, আমার কোনো মতামত নেই। আমি কারও বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না। এটা আপনারা ১৪ দল বসে ঠিক করেন। তিনি (মেনন) দুঃখপ্রকাশ করেছেন। ১৪ দল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। ব্যাস, ওখানেই মিটমাট। আমার তো এখানে বলার কিছু নেই।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন