October 31, 2019 | 6:32 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের আসন্ন পাকিস্তান সফর নিয়ে এক মাস আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যা বলেছিল এক মাস পরেও তাই বলছে। সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের তকমা পাওয়া এই দেশটিতে আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে মুশফিক-তামিমরা আদৌ যাবেন কী না সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছে না বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই প্রশাসন। তাকিয়ে আছে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদনের দিকে। কারণটিও যে অমূলক নয়, পদে পদে পাকিস্তানে মৃত্যুর শঙ্কা।
গেল ২৯ সেপ্টেম্বর বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অভ্যর্থনাকক্ষে বলেছিলেন, ‘যে কোনো দলকে পাকিস্তান সফর করতে একটি নিরাপত্তা ছাড়পত্র নিতে হয়। আমাদের দলগুলোর বিদেশ সফরের কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তার মধ্যে একটা হচ্ছে নিরাপত্তা ছাড়পত্র। আমরা সে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে তাদের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এক মাস পরে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সেই কথাগুলোই যেন একটু এদিক ওদিক করে বললেন, ‘আমরা বাংলাদেশ হাইকমিশন ও নিরাপত্তা পরিদর্শক দলের রিপোর্ট দেখব। আইসিসির সঙ্গেও কথা বলতে হবে। কারণ ম্যাচ অফিসিয়ালদের পাঠানো নিয়ে তাদেরও আলাদা একটি পরিদর্শক দল যায়। সবার সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
সুজনের কথায় এটা স্পষ্ট, শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত টাইগারদের পাকিস্তান সফরের অনুমতি দেবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
কিন্তু বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল ও অনূর্ধ্ব-১৬ দল পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে এই মুহূর্তে পাকিস্তান যে সফর করছে! এমতাবস্থায় প্রশ্নের উদ্রেক হওয়টা অমূলক নয়, তাহলে মুশফিক-তামিমদের সমস্যাটা কোথায়? এমন প্রশ্নের জবাবে সুজনের উত্তর হলো, ‘সরকারি পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফর করেছে। তাদের সফরের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দল ও মহিলা দল পাকিস্তানে গিয়েছে। যে বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়, সেসব ক্ষেত্রে বয়সভিত্তিক বা মেয়েদের দলের চেয়ে জাতীয় দলের বিষয় আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি