বিজ্ঞাপন

রূপনগরে বিস্ফোরণ: পিইসি পরীক্ষা দিতে পারবে সিয়াম

November 4, 2019 | 6:02 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মিরপুর রূপনগরে গ্যাস দিয়ে বেলুন ফোলানোর সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ শিশু সিয়াম পিইসি পরীক্ষা দিতে পারবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার অবস্থা এখন উন্নতির দিকে।

বিজ্ঞাপন

বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আ ফ ম আরিফুল ইসলাম নবীন বলেন, ‘আমাদের বার্ন ইউনিটে সিয়াম ও মোস্তাকিম নামের দুই শিশু ভর্তি আছে। এর মধ্যে মোস্তাকিমের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে ও সিয়ামের মুখমণ্ডল ঝলসে যায়। মোস্তাকিমের ২৫ শতাংশ ঝলসে গেলেও সেটি এখন আর সমস্যা না। তার সমস্যা দেখা দিয়েছে চোখে। দু চোখ এখনও ফুলে আছে। এখনও তাকাতে পারছে না।’

ডা. আরিফুল বলেন, ‘মোস্তাকিমকে ঢামেক হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে পাঠানো হয়েছিল। সেখান বলা হয়েছে চোখের ফোলা না কমানো পর্যন্ত দেখা সম্ভব না। তাকে জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হতে পারে।’

সিয়ামের বিষয়ে ডা. আরিফুল বলেন, ‘সিয়াম ভালো আছে। আগামী ১৭ নভেম্বর তার পিইসি পরীক্ষা শুরু হবে। আমরাও শঙ্কিত ছিলাম সে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে কিনা? আশা করছি সে পরীক্ষা দিতে পারবে। সিয়ামের চোখেও সমস্যা ছিল। তাকেও চক্ষু বিভাগে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে বলা হয়েছে, তার চোখ ভালো আছে। যে কোনো দিন তাকে ছুটি দেওয়া হবে। সিয়াম বর্তমানে পাঁচতলার একটি ওয়ার্ডে ও মোস্তাকিম ২য় তলার হাইডিপেনডেন্সি (এইচডিইউ) ইউনিটে ভর্তি আছেন।

বিজ্ঞাপন

বার্ন ইউনিটে দেখা যায়, সিয়ামের পাশে বসে আছেন তার মা সুলেখা বেগম। সিয়াম ঘুমাচ্ছেন। মুখের অংশে এখনো ঝলসানো দাগ। চোখের ওপরে ফোলা।

সুলেখা বেগম বলেন, ‘১৭ নভেম্বর সিয়ামের পিইসি পরীক্ষা। এখন পর্যন্ত জানি না যে সে পরীক্ষা দিতে পারবে কিনা? মুখের ঘা এখনও শুকায়নি। চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছে, যে কোনোদিন ছুটি দেবে।’

সুলেখা জানান ‘তাদের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার জয়পুর গ্রামে। বাবা তোফাজ্জল হোসেন সবজি বিক্রি করেন। চার ছেলে এক মেয়ের মধ্যে সিয়াম তৃতীয়। বর্তমানে পরিবার নিয়ে মিরপুর রূপনগর শিয়াল বাড়ি এলাকায় থাকেন। সেখানে অ্যাডাফ স্কুলে পড়াশোনা করেন সিয়াম। ঘটনার দিন বাসা থেকে বের হয়ে স্কুলে কোচিং করতে যাচ্ছিল।’

বিজ্ঞাপন

সুলেখা বলেন, ‘বিস্ফোরণের খবর জানার পর ছুটে যাই। দেখি আমার ছেলে পড়ে আছে।’

ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি আছে আরও পাঁচজন। এর মধ্যে মিজান (৭) আইসিইউতে আছে। জান্নাত আক্তার আছে ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। জুয়েল ও আবু সাঈদ আছেন ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে। জনি নামের আরেক শিশু ভর্তি আছে শিশু ওয়ার্ডে।

ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘রূপনগরে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় হাসপাতালে মোট সাতজন ভর্তি আছে। এদের মধ্যে চারজনই শিশু। মিজান নামে একজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। প্রথম থেকেই সে শকে ছিল। তার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। এছাড়া জান্নাত নামে এক নারী আছে যার এক হাত বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তার অবস্থা আগের থেকে ভালো।’

তিনি বলেন, ‘জনি নামের আরেক শিশু আছে। তার চোখে সমস্যা আছে। জুয়েল নামের একজন আছে। তার একটি হাত ভেঙে গেছে। আবু সাঈদ নামের একজন আছে। তার এক হাতের কব্জি থেতলে গেছে। পেটে ও পায়ে আঘাত আছে। তাদের সবারই চিকিৎসা চলছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএসআর/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন