বিজ্ঞাপন

প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা

November 6, 2019 | 3:47 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাইমুলের বাবা মো. মজিবুর রহমান মামলাটি দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আমিনুল হকের আদালতে আবরারের বাবা মামলাটির আবেদন করেন। এসময় আদালতে আবরারের মা ও তার চাচাত ভাই উপস্থিত ছিলেন। পরে মহানগর হাকিম আমিনুল হক মামলাটি গ্রহণ করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, চলতি মাসের ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কিশোরদের মাসিক সাময়িকী কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে নাইমুল আবরার যান। অনুষ্ঠান চলাকালে সাড়ে তিনটার দিকে আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অনুষ্ঠানের জন্য যে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা হয় তা অরক্ষিত ছিল।

অভিযোগে আরও বলা হয়, অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার যে নিরাপত্তা ও সাবধানতার  প্রয়োজন ছিল তা নেওয়া হয়নি। ঘটনাস্থলের অতি সন্নিকটে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল অবস্থিত হলেও আবরারকে মহাখালী ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। নাইমুল আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট পৃষ্ট হওয়ার পর বিকেল করে ৪ টা ৫১ মিনিটে চিকৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। আবরারের মৃত্যুর সংবাদ কিশোর আলো এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ গোপন করে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চালিয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ আবরারের মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়নি। আবরারের পরিবার এক সহপাঠীর মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর পান। যা একটি পরিকল্পিত, গাফিলতি এবং অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড ।

বিজ্ঞাপন

বাদী আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।

এদিন আদালত বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে আবরারের মৃতদেহ দ্রুত তুলে পোস্টমোর্টেম দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি থানায় করা অপমৃত্যুটি মামলাটি একসাথে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে সংশ্লিষ্ট থানাকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) মাসিক ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলোর’ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান দেখতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাইমুল আবরারের মৃত্যু হয়। সে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম (গ) শ্রেণির (দিবা) শিক্ষার্থী ছিল।

 

সারাবাংলা/এআই/পিটিএম/জেডএফ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন