বিজ্ঞাপন

রূপপুরের বালিশকাণ্ড: সাত প্রকৌশলীকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

November 11, 2019 | 12:02 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বালিশকাণ্ডসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় সাত প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরা হলেন পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দেবাশীষ চন্দ্র সাহা, রাজশাহী সার্কেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আহসানুল হক, রাজশাহী গণপূর্ত অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নজিবুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শফিকুর রহমান, রাজশাহী সার্কেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী খোরশেদা ইয়াছরিবা, পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম ও মো. রওশন আলী।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১১ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে কমিশনের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে ৬ ও ৭ নভেম্বর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (বর্তমানে ওএসডি) মাসুদুল আলমসহ ১৪ প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

সূত্র জানায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বালিশকাণ্ডসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর দুদক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করে। দলের অপর দুই সদস্য হলেন- দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুর রহমান ও উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ। পরে গত ৩ নভেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শওকত আকবরসহ মোট ৩৩ প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে চিঠি দেয় দুদক। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ ও ৭ নভেম্বর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (বর্তমানে ওএসডি) মাসুদুল আলমসহ ১৪ প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, রূপপুর প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মাণাধীন গ্রিনসিটি আবাসন প্রকল্পের ১৬ ও ২০ তলা ভবনের আসবাবপত্র কেনা ও ভবনে উত্তোলন কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে গত ১৯ মে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুই কমিটির তদন্তেই ৬২ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অনিয়মের কথা উঠে আসে। হাইকোর্টের নির্দেশে গত জুলাই মাসে আদালতে জমা দেওয়া ওই তদন্ত প্রতিবেদনে দুর্নীতির জন্য ৩৪ জন প্রকৌশলীকে দায়ী করা হয়।

সূত্র জানায়, প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের থাকার জন্য গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীতে ২০ তলা ১১টি ও ১৬ তলা আটটি ভবন হচ্ছে। এরইমধ্যে ২০ তলা আটটি ও ১৬ তলা একটি ভবন নির্মাণ শেষ হয়েছে। ২০ তলা ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য প্রতিটি বালিশ কিনতে খরচ দেখানো হয়েছে পাঁচ হাজার ৯৫৭ টাকা। প্রতিটি বালিশ ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা। প্রতিটি রেফ্রিজারেটর কেনার খরচ ৯৪ হাজার ২৫০ টাকা, ভবনে উঠাতে খরচ ১২ হাজার ৫২১ টাকা। প্রতিটি খাট কেনা হয়েছে ৪৩ হাজার ৩৫৭ টাকা, খাট ওপরে উঠাতে খরচ ১০ হাজার ৭৭৩ টাকা। প্রতিটি টেলিভিশন কেনায় খরচ দেখানো হয়েছে ৮৬ হাজার ৯৭০ টাকা, টেলিভিশন উপরে উঠাতে খরচ সাত হাজার ৬৩৮ টাকার খরচ। এছাড়াও বিছানার খরচ পাঁচ হাজার ৯৮৬ টাকা, তা ভবনে তুলতে খরচ ৯৩১ টাকা। প্রতিটি ওয়ারড্রোব কিনতে খরচ ৫৯ হাজার ৮৫৮ টাকা, তা উঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ১৭ হাজার ৪৯৯ টাকা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/জেএএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন