November 11, 2019 | 6:00 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর অভিযোগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে এ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে করেন। এরপর আসামি মোয়াজ্জেম হোসেনের পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ তাকে জেরা করেন। তবে এদিন সাক্ষীর জেরা শেষ না হওয়ায় আগামী ১২ নভেম্বর পরবর্তী জেরার জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার সময় বলেন, বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের আদেশে আমি মামলার তদন্তভার গ্রহণ করি। বাদীর আরজিতে উল্লেখিত ঘটনাস্থল সরজমিনে পরিদর্শন করি। মূল ঘটনাস্থল সোনাগাজী থানার এলাকায় গিয়ে সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ করে তা লিপিবদ্ধ করি। সোনাগাজী থানায় উপস্থিত সাক্ষীদেরও জবানবন্দি রেকর্ড করি। নুসরাতের বান্ধবীদেরও জবানবন্দি রেকর্ড করি। মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আলামত জব্দ করে তালিকা তৈরি করি। সাক্ষ্য ও ঘটনাস্থল তদন্ত করে বিবাদীর বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচার প্রার্থনা জানিয়ে ২৩ মে প্রতিবেদন দাখিল করি। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ সাক্ষীকে জেরা শুরু করেন।
গত ১৫ এপ্রিল মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এ আবেদন গ্রহণ করে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ রুমে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। কারাগারে থেকেই নুসরাতের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিতে থাকেন সিরাজ। তবে মামলা তুলে না নেওয়ায় নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন অধ্যক্ষের সহযোগীরা।
গত ১০ এপ্রিলের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়।
নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজসহ ১৬ জনকে সম্প্রতি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সারাবাংলা/এআই/একে