বিজ্ঞাপন

মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ ১৫টি সরকারি চিনিকল, বন্ধ থাকে বছরের অর্ধেক সময়

November 11, 2019 | 7:31 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

সংসদ ভবন থেকে: বর্তমানে দেশের চিনি ও খাদ্য করপোরেশনের আওতাধীন ১৫টি চিনি কলের মধ্যে অধিকাংশেরই অর্থনৈতিক আয়ুকাল শেষ হয়েছে। এসব মিলগুলোর অনেক আগেই মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এসব কলগুলো পর্যায়ক্রমে সুষমকরণ, আধুনিকীকরণ ও প্রতিস্থাপন (বিএমআর) প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি বলেন, বর্তমানে বিএমআর অব কেরু অ্যান্ড কোং লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১১ নভেম্বর) নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘চিনিকল বন্ধ হওয়ায় অনেক কর্মী ছাঁটাই হয়ে গেছে এটা সত্যি। তবে তাদের অনেকেই এখনো পাওনা টাকা পাননি। এদের নায্য পাওনা যাতে পান সে জন্য একটি কমিটি কাজ করছে। তাদেরকে পর্যায়ক্রমে সব পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হবে।’

শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সারাবছর চিনিকলগুলো চালু রাখার জন্য অমৌসুমে ‘র’ সুগার আমদানি করে হোয়াইট সুগার উৎপাদনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। চিনি কলগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চিনি কলের উপজাত ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকল্পটি ডিস্টিলারি, বায়োগ্যাস ও বায়ো কম্পোস্ট প্লান্ট অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব পরিকল্পণা কমিশনে অনুমোদিত হয়েছে।’ এছাড়া ১৪টি চিনি কলের বর্জ পরিশোধনাগার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এমপি আবদুল মান্নানের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘চিনি কলগুলোর অনেক সমস্যা রয়েছে। এখনো এদের উৎপাদন সক্ষমতা আসেনি। সময়মতো প্রয়োজনীয় কাঁচামাল পাওয়া যায় না। আমাদের আখ গবেষণা কেন্দ্র উন্নয়ন ততটা করতে পারেনি। সেকারণে কাঁচামালের অভাবে পাঁচ-ছয় মাস শ্রমিকদের বসিয়ে রাখতে হয়ে। তবে চিনিকলের উন্নয়নে ডিস্টিলারি প্রসেস চলমান, এটি একনেকে পাশ হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

নূরুল মজিদ মাহমুদ জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দবিহীন অনুমোদিত প্রকল্প হিসেবে দুটি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা আছে। ১৩টি চিনিকলে পুরাতন সেন্টিফিউগাল মেশিন, জুস ক্লারিফায়ার এবং রোটারি ভ্যাকুয়াম ফিল্টারের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। রাজশাহী চিনিকলে ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বোতলজাতকরণ এবং পাল্প প্লান্ট স্থাপন। পাঁচটি চিনিকলে সুগার রিফাইনারি স্থাপন শীর্ষক তিনটি প্রকল্প সবুজ পাতায় অন্তর্ভুক্ত আছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ১৮৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ছাতক সিমেন্ট কারখানা আধুনীকিকরণ করার কাজ চলছে। আগামী ২০২০ সাল নাগাদ এ সিমেন্ট কারখানাটি আধুনীকিকায়ন হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন