বিজ্ঞাপন

‘বর্তমানের শিক্ষা ব্যবস্থায় ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ সম্ভব নয়’

February 15, 2018 | 1:52 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

বর্তমানের শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ অর্জন করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রশ্নফাঁসের কথা সরাসরি স্বীকার না করলেও মন্ত্রী বলেন, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে যারা যুক্ত, আমেরিকা গেলেও তারা প্রশ্নফাঁস করে ফেলবে।

এজন্য শিক্ষা ব্যবস্থার রূপান্তর করাকে এখন দেশের অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলেও মনে করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্বের চাহিদা ও প্রয়োজন মেনে জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর এবং হাতে-কলমে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে। এছাড়া বর্তমানের প্রয়োজনের সঙ্গে আগামীর প্রয়োজন মাথায় থেকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সাজাতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, দেশে নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা কমছে। ৮০র দশকে অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা ছিল ৮০ ভাগ। কিন্তু বর্তমানে সেটি কমে দাড়িঁয়েছে ৫৪ ভাগ। অর্থাৎ আগে পরিবারের ১ জন আয় করলে অন্য সব সদস্য তার উপর নির্ভর করতো। এখন একজনের ওপর নির্ভরতা কমেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের আকর্ষনীয় স্থান। শুধু বিদ্যুৎ এবং জ্বালানির নিশ্চয়তা দিতে পারলে বিদেশী বিনিয়োগের কোন অভাব হবেনা। মন্ত্রী বলেন,  গত এক বছরে দেশে সর্বোচ্চ ৩৭ লাখ কর্মসংস্থান হয়েছে। এর মধ্যে ১০ লাখ ৩০ হাজার মানুষ বিদেশে গেছে। দেশে কর্মসংস্থান হয়েছে ১৪ লাখ।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিং এ ২০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্রত্যেক গ্রামে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে গেছে। বেতনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশের ১৪ লাখ মানুষ।

মন্ত্রী বলেন, এই মুহুর্তে রিজার্ভ অনেক ভাল। আমরা যে চীনের কাছ থেকে ঋণ নেই। তাদের ঋণ চায়নার মোট জিডিপির তুলনায় দ্বিগুন। সেখানে আমাদের ঋণ নেয়ার হার অনেক কম।

ব্যাংকিং খাতের ঋণ অনিয়ম বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে শিল্পকারখানা করাকে আমি নিরুতসাহিত করি। চীনে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে শিল্পকারখানা করার নজির কম। অর্থায়নের উৎস হিসেবে পুঁজিবাজার আদর্শ বিকল্প হতে পারে। তবে পুঁজিবাজার যাওয়ার আগে এর সম্পর্কে পড়াশোনা ও জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। ব্যাংকিং খাতে বর্তমানের বিপর্যের কথা স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, যে অনিয়মগুলো হচ্ছে, সেগুলো বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের শক্তিশালী ভূমিকা নেয়া উচিত।

সারাবাংলা/জেজে/জেএএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন