বিজ্ঞাপন

সরকারি কর্মচারীসহ যেকোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা

November 13, 2019 | 9:06 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। দুর্নীতির বিষবৃক্ষ সম্পূর্ণ উপড়ে ফেলা দেশের প্রকৃত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি সুশাসনভিত্তিক প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করতে আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার তারকা চিহ্নত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দুর্নীতিসহ সকল ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ যাতে কেউ করতে না পারে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। সরকারি কর্মচারীসহ অপরাধী যেই হোক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে অনুসন্ধানপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এর আগে বিকেল সোয়া ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরৎ আনার বিষয়ে দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশন (ইউএনসিএসি)-এর ৬(৩) ও ৪৬(১৩) ধারা অনুসরণে দুর্নীতি দমন কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়কে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

সংসদ নেতা বলেন, ‘সরকার জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল অনুযায়ী বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। সরকারের ভিশন ২০২১ এ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ অগ্রাধিকার পেয়েছে।’

জাতীয় পার্টির আরেক সদস্য মো. মুজিবুল হক চুন্নুর অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আইনের শাসন নিশ্চিত করে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে ক্যাসিনো, জুয়া, মাদক, দুর্নীতিসহ সকল ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জোরালো অভিযান পরিচালনা করছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে ক্যাসিনো দুর্নীতি ও অবৈধ অর্থ সম্পদ অর্জনের সাথে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮, অস্ত্র আইন-১৮৭৮ ও বিশেষ আইন ১৯৭৪ সহ অন্যান্য আইনে মামলা করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।’

এছাড়া ক্যাসিনো দুর্নীতির সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ অভিযান অব্যহত থাকবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ যাতে কেউ করতে না পরে সে জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানের পাশাপাশি কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিও অব্যহত রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে এ পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন ১৬টি ফাঁদ মামলা করে ৬৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তির সম্পদের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কোন কোন ব্যক্তি সিঙ্গাপুরে ক্যাসিনো খেলেছে, সে সম্পর্কিত তথ্য চেয়ে দুদক সিঙ্গাপুর সরকারকে অনুরোধ করেছে। সকল দুর্নীতিবাজকে আইনের আওতায় আনতে দুদক কাজ করে যাচ্ছে। দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে রাজনৈতিক ব্যক্তি ছাড়া সরকারি কর্মচারীসহ অন্য যে সকল ব্যক্তি জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষে সকল ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। দুর্নীতিসহ সকল ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ যাতে কেউ করতে না পারে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। সরকারি কর্মচারীসহ অপরাধী যেই হোক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে অনুসন্ধানপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এছাড়া তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখতে দুর্নীতি দমন কমিশন বদ্ধপরিকর। কারা কারা অভিজাত গাড়ি কিনেছে, সে সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সকল দুর্নীতিবাজকে আইনের আওতায় আনতে দুর্নীতি দমন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাংলা/এএইচএইচ/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন