বিজ্ঞাপন

মাটিতে ট্রেন চালাতে পারি না, মেট্রোরেল চালাব কীভাবে: রওশন এরশাদ

November 14, 2019 | 11:04 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

সংসদ ভবন থেকে: সম্প্রতি রেল দুর্ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, আমরা মাটির ওপর দিয়ে ট্রেন ঠিকমত চালাতে পারি না বলে দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা মেট্রোরেল চালাব কীভাবে। শূন্যের ওপর দিয়ে মেট্রোরেল করা হচ্ছে। এই ট্রেন যে পড়ে যাবে না, তার নিশ্চয়তা কী। পড়ে তো যাবেই।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে রওশন এরশাদ এসব কথা বলেন।

অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সমাপনী বক্তব্যে তিনি নিরপাদ খাদ্য, আলোচিত সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচার, মাদকের ভয়াবহতাসহ বিভিন্ন সামাজিক অবক্ষয়ের কথা তুলে ধরেন রওশন এরশাদ।

সম্প্রতি রেল দুর্ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রওশন এরশাদ বলেন, ‘যানজট নিরসনে বড় বড় ফ্লাইওভার করা হচ্ছে। মেট্রোরেল তৈরি করা হচ্ছে। এত টাকা নিয়ে এদিকে খরচ না করে এই টাকা দিয়ে সারাদেশে শিল্প উন্নয়ন করলে বেকার সমস্যা দূর হতো।’

বিজ্ঞাপন

বিরোধীদলের নেতা বলেন, ‘বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি, কুমিল্লার সোহাগী জাহান তনু, পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা আকতারসহ এ পর্যন্ত যত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সবগুলোর দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনুন।’

ওশন এরশাদ বলেন, ‘কিছু কিছু হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত হয় আবার কিছু হত্যাকাণ্ডের বিচার বিচার হচ্ছে না। নুসরাত হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা হলেও সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনো শুরুই হয়নি। কিছু কিছু মামলা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। যেগুলো সরকার চায় সেগুলো দ্রুত বিচার হয়। আর সরকার যেগুলো চায় না সেগুলো ঝুলিয়ে রাখা হয়। এসব মামলা দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন করার জন্য আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে বিরোধীদলের নেতা বলেন, ‘যখন ঢাকা ও চট্টগ্রামে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হয় তখন কিছু কিছু ক্লাব ও বাড়িতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, নগদ টাকা পাওয়া গেছে। এই অভিযানে প্রধানমন্ত্রী নিজের দলের নেতাদেরও ছাড় দেননি। এসব ক্লাবে ক্যাসিনোর খবর স্থানীয় থানাগুলো কেন দেখেনি। আমি আশা করব শুদ্ধি অভিযান অব্যহত থাকুক।’

বিজ্ঞাপন

নিরাপদ খাদ্য নিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, ‘এখন নিশ্চিন্ত মনে কোনো খাবার খাওয়া যায় না। হোটেলগুলো ২০ বছর আগের ঝোল ও ডাল বিক্রি করছে। খাদ্য নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ নেই। সরকার না চাইলে মানুষ হাজার চেষ্টা করেও নিরাপদ খাদ্য খেতে পারবে না।’

প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে বিরোধীদলের নেতা বলেন, ‘তারা মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের উপযুক্ত বেতন ভাতা দিয়ে যোগ্য মানুষ গড়ার বিষয়টি গুরুত্বকসহকারে বিবেচনা করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানাই।’

রোহিঙ্গা নিয়ে বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু অনেক দিনের। এখনও হয়নি। কবে কে জানে এটার সমাধান হবে। তাদেরকে যত তাড়াতাড়ি পাঠানো যায় ততই মঙ্গল।’

সোস্যাল মিডিয়ার সমালোচনা করে বলেন, ‘এখন ছাত্রছাত্রীরা সারারাত ফেসবুক ব্যবহার করে। রাত ১২টার পর সকাল ৭ টা পর্যন্ত ফেসবুক বন্ধ রাখতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়ে বলেন, ‘বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি জনগণের যা প্রয়োজন তাই বলে। বিরোধীদল হিসেবে রাজনীতিরধারা বদলে দিয়েছি। অতীতে বিরোধীদল যা করেনি আমরা তা করেছি। আমরা যেসব নিয়ে কথা বললে জনগণের উপকার হয় সেসব নিয়ে কথা বলি।’

সারাবাংলা/এএইচএ/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন