আপিলে খালেদার জামিন শুনানি ২৫ নভেম্বর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদনের শুনানির জন্য ২৫ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন চেম্বার আদালত। সেইসঙ্গে আবেদনটি আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

রোববার (১৭ নভেম্বর) চেম্বার বিচারপতি নুরুজ্জামানের আদালত এ দিন ঠিক করে দেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

পরে জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে ৫ থেকে ১০ বছরের সাজা হলে হাইকোর্ট থেকে জামিন হয়। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপারে বহু চেষ্টা করেও জামিন পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত জামিন খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বাধ্য হয়েছি। আবেদনটি নিয়ে চেম্বার আদালতে গিয়েছিলাম। সেখানে জামিন চেয়েছিলাম। আদালত আগামী ২৫ নভেম্বর আপিলের নিয়মিত শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। সেখানে আমরা ন্যায় বিচার পাব বলে আশা করি।’

খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘হাইকোর্টে জামিনের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া লিভ টু আপিল করেছিলেন। চেম্বার আদালত আবেদনটি আগামী ২৫ নভেম্বর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য রেখেছেন। আইনগত দিক পর্যালোচনা করে, আইনগত ব্যাখ্যা দিয়ে আমরা এর বিরোধিতা করব।’

এর আগে গত ১৪ নভেম্বর আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। গত ৩১ জুলাই জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

গত ৩০ এপ্রিল আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টের এ বেঞ্চ খালেদার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে বিচারিক আদালতের রায়ের নথি দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর ড. মো. আকতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়া ছাড়া অপর তিন আসামিকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করলে ৩০ এপ্রিল তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

সারাবাংলা/এজেডকে/পিটিএম