অভিজিৎ হত্যা: টিএসসির পানি ব্যবসায়ীসহ ২ জনের সাক্ষ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় টিএসসির পানি ব্যবসায়ী মো. সেলিমসহ দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেন। একই সঙ্গে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করেন।

অপর সাক্ষী হলেন, পুলিশ কনস্টেবল মো. নুরুল ইসলাম।

আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণকালে পানির ব্যবসায়ী মো. সেলিম বলেন, আমি শাহাবাগ থানার গেটে পানির ব্যবসা করি। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি টিএসসির মোড়ে দুইজন লোককে পড়ে থাকতে দেখি। আরও কাছে গিয়ে দুইজনকেই রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পাই। এরপর একজন পুলিশ অফিসার এসে আমাকল সাক্ষী হওয়ার জন্য আহবান জানান।

পুলিশ কনস্টেবল মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একজন সাব-ইন্সপেক্টর নেতৃত্বে ডিএমপির মর্গে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই লেখক অভিজিৎ রায়ের লাশ বলে আত্মীয় স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেন। সাব-ইন্সপেক্টর তার লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। এরপর অভিজিৎতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

এই মামলায় অভিযুক্ত ছয় আসামি হলেন—আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান সাবেক মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস), শফিউর রহমান ফারাবি ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ।

এর আগে গত ১ আগস্ট ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। ছয় আসামির মধ্যে মেজর জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন পলাতক। বাকি চার আসামিকে এদিন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ। ওই ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাসহ ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এআই/এমআই