বিজ্ঞাপন

সড়ক আইন কার্যকরের জেরে মতিঝিলও ফাঁকা!

November 20, 2019 | 2:24 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নতুন সড়ক আইন বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর জের ধরে ঢাকাসহ প্রায় সারাদেশে অঘোষিত কর্মবিরতি পালন করছে শ্রমিকরা। ফলে সব ধরণের যাত্রী ভোগান্তি বেড়েছে। এই ধারাবাহিকতায় জণশুন্য হয়ে পড়েছে রাজধানীর মতিঝিল ব্যাংকপাড়াও। একদিন আগেও দিনের বেলা এখানে স্বাভাবিক হাটাই ছিল দায়। সেখানে এখন লোক সমাগম তার চার ভাগের একভাগও নেই। নেই গাড়ির জটলা আর ফুটপাতের চিরচেনা দৃশ্য।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মতিঝিল এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

‘গণপরিবহন চলাচলে বাধা দিচ্ছে ট্রাক শ্রমিকরা’

যাত্রাবাড়ী টু গুলিস্তান: ভ্যান-রিকশাই ভরসা

বিজ্ঞাপন

স্বাভাবিক দিনগুলোতে মতিঝিলে মানুষের উপস্থিতি থাকে ব্যাপক। ভীড়ের কারণে ফুটপাত দিয়ে মানুষ হাঁটতেও পারেন না। সড়কে পরিবহনের জটলা থাকে দীর্ঘসময় ধরে। ব্যাংকগুলোর সামনে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ ধর্মঘটের কারণে মতিঝিল এলাকায় আজ তেমন কিছুই চোখে পড়েনি। ফুটপাত দিয়ে আগের মতো মানুষ হাঁটছে না। ব্যাংকগুলোর সামনে দু’একটি ছাড়া কোনো তেমন গাড়িও নেই। অল্প কিছু রিকশা চলছে। ব্যাংকগুলোর ভেতরেও লোকজন তেমন দেখা যায়নি।

দিলকুশা এলাকায় ডাচবাংলা ব্যাংকের লোকাল শাখার সামনে কথা হয় ওই শাখার একজন দাঁড়োয়ান নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, অন্য দিনগুলোতে এই শাখায় একেকজন গ্রাহককে যেকোনো কাজের জন্য কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। আর আজ তেমন কোনো গ্রাহকই নেই। মানুষ আসতে না পারলে ভীড় থাকবে কেমনে।

মতিঝিল ইসলামী ব্যাংকের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, অন্তত ১০টি কাউন্টার ফাঁকা রয়েছে। অথচ এসব কাউন্টারের প্রত্যেকটিতেই লাইনে লোক দাঁড়ানো থাকত স্বাভাবিক দিনগুলোতে। সহকারি ম্যানেজার আব্দুস সবুর সারাবাংলাকে বলেন, আজকে হঠাৎ করেই গ্রাহক শুন্য হয়ে পড়েছে। ধর্মঘটের কারণে গ্রাহক কম আসবে জানি তবে এত কম আসবে তা বুঝতে পারি নি।

বিজ্ঞাপন

একই অবস্থা দেখা গেছে, প্রাইম ব্যাংকের বিজয়নগর ব্রাঞ্চে। সেখানে মাত্র ৭ জন গ্রাহককে দেখা গেছে। অথচ ওই শাখায় কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা এর চেয়ে কয়েকগুণ।

সড়কে খিলগাঁও থেকে মিরপুরগামী বাহন পরিবহন, মতিঝিল থেকে সাভারগামী ওয়েলকাম পরিবহন, মতিঝিল থেকে মিরপুরগামী বিকল্প পরিবহন, উত্তরাগামী ঢাকার চাকা পরিবহন ও বিআরটিসির বেশ কয়েকটি বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে এসব বাসেও যাত্রী সংখ্যা অনেক কম দেখা গেছে।

ওয়েলকাম পরিবহনের চালক নয়ন মিয়া বলেন, এই লাইনে কোম্পানির বাস চলাচল করে অন্তত ৭০টি। আমিন বাজার ও গাবতলী এলাকায় বাসগুলোকে আটকে দেওয়া হচ্ছে। ফলে সকাল থেকে বাস মতিঝিল থেকে শ্যামলী পর্যন্ত যাচ্ছে। আবার সেখান থেকে মতিঝিল যাতায়াত করছি। পেটের দায়ে বাস চালাচ্ছি। আবার ৩০২ ধারা মাথায় নিয়ে চালানো তো ঠিক না। বিপদের সময় শ্রমিকরাই পাশে দাঁড়ায়। তাদের কথাও মানা উচিত।

বিআরটিসির উত্তরা রুটের চালক মোহসীন আলী বলেন, সরকারি বাস নির্দেশনা মেনে চালাচ্ছি। সব জায়গায় শ্রমিকরা বাস আটকাচ্ছে। মহাখালীতে যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দিয়েছে। আব্দুল্লাপুরে নামিয়ে দিয়েছে। সায়েদাবাদ এলাকা দিয়ে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। অনেক গাড়ি গাবতলীতে আটকা পড়েছে। এরপরেও কিছু কিছু বাস কৌশলে চালানো হচ্ছে বলে জানান মোহসীন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন