বিজ্ঞাপন

‘বিএনপি নেতাদের বাড়ি কেন ঘেরাও হচ্ছে না?’

November 21, 2019 | 3:59 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দলের সর্বস্তরে আন্দোলন কর্মসূচির দাবি থাকলেও এ সম্পর্কিত কোনো ঘোষণা না দেওয়ায় নেতাকর্মীরা বিএনপির নীতিনির্ধারকদের বাড়ি কেন ঘেরাও করছে না?— এমন প্রশ্ন তুলেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রশ্ন তোলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এই আলোচনা সভা আয়োজন করে সম্মিলিত ছাত্র ফোরাম।

গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, ‘সবাই আন্দোলনের কথা বলছেন। আমরা নেতারা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারছি না। তাহলে আপনারা আমাদের কথা শুনছেন কেন? আপনারা আমাদের বাড়িঘর ঘেরাও করছেন না কেন?’

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তি নিতে পারেন না। কারণ, তিনি কোনো অন্যায় করেননি। আন্দোলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়ার মুক্তি মর্যাদাপূর্ণ।’

বিজ্ঞাপন

‘একজন আপসহীন নেত্রী জেলখানায় থাকবেন আর আমরা প্যারোলে মুক্তির জন্য কোর্টে দৌড়াব? আমরা আন্দোলন করব রাজপথে। আন্দোলনের মাধ্যমেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। আন্দোলনটাই সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ’— বলেন গয়েশ্বচন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি মৃত্যু অনিবার্য। সেই মৃত্যুকে আমরা রোধ করতে পারব না। সুতরাং রাস্তায় নামতে ভয় কীসের? খালেদা জিয়া জেলে গেছেন। অথচ আমাদের মধ্যে দুই-চার-পঞ্চাশ বা একশটা রাস্তায় গুলি খেয়ে পড়ে যাই নাই। তাহলে আমরা নেত্রীকে কোন মর্যাদায় রাখলাম?’

কর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের নেতা হওয়ার পেছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশি, তার জন্য কি আমাদের কিছু করার নেই? যদি থাকে তাহলে আন্দোলনের বিকল্প নেই। আমরা আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। এটা হচ্ছে আমাদের অপরাধ।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমাদের ইস্যু একটাই- সেটা গণতন্ত্রের মুক্তি, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। খালেদা জিয়ার মুক্তি হলে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। এজন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।’

‘এই সরকারকে যাওয়ার পথ খুঁজতে হবে। তারা যে ঋণ করেছে; যাওয়ার পর এই ঋণের বোঝা জনগণের মাথায় ভর করবে। এই সরকার যাওয়ার পর যারা সরকার গঠন করবে তাদের দেশ চালানো কঠিন হবে’— বলেন গয়েশ্বরচন্দ্র রায়।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নির্বাহী কমিটির সদস্য এ এন এম রহমাতুল্লাহ, কৃষকদল নেতা এম জাহাঙ্গীর আলম, চিত্রনায়িকা শায়লা প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন