বিজ্ঞাপন

৩০ জুন পর্যন্ত কোনো কর্মসূচি নয়: পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন

November 24, 2019 | 12:16 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে সৃষ্ট অসন্তোষকে ঘিরে পরিবহন নেতাদের সঙ্গে  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের পর  শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান এমপি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আইন আমরা মানবো। যদি অস্পষ্টতা দূর করা হয়। বর্তমান সড়ক পরিবহন আইনের অস্পষ্টতা দূর করতে আমরা ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে আমরা কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করবো না। তবে ৩০ জুনের মধ্যে আমাদের দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে’।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, শনিবার (২৩ জুন) রাত ৯টা ১৫ মিনিটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের ধানমন্ডির বাসায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ৩০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক শুরু হয়।

প্রায় দুই ঘন্টা ধরে চলা ওই বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন  পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মীর শহীদুল ইসলাম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বিআরটিএ’র কর্মকর্তাবৃন্দ।

আরও পড়ুন- স্বরাষ্টমন্ত্রীর সঙ্গে শ্রমিক ফেডারেশনের বৈঠক চলছে

বিজ্ঞাপন

বৈঠক শেষে সর্বশেষ পরিস্থিতি ও বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান এমপি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাহজাহান খান বলেন, ‘বলা হয়েছে নিয়োগপত্র ব্যতীত গাড়ি চালাতে পারবে না। কিন্তু আইনে বলা নাই নিয়োগপত্র না দিলে তাহলে কি হবে? কার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে?  এ ধরনের আরো কিছু অসঙ্গতি ও অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। আমরা বলেছি এগুলো দূর করে আইনের একটা সংগতি এবং স্পষ্টতা আনুন। কিন্তু আইন আমরা মানি না একথা কেউ বলিনি। আমরা কেউ বলিনি যে জেল কমাতে হবে। আমরা শুধু বলেছি জরিমানা ব্যাপারটা। এই জরিমানা এমনভাবে করা হয়েছে যে একজন ড্রাইভার তার পক্ষে এত বেশি জরিমানা দেওয়া কঠিন ব্যাপার। যা সম্ভব নয়’।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৩ সালে আমরা শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আন্দোলনের কারণে এই আইন করেছিল সরকার। তখন থেকে আমরা দাবি করে আসছি একটি যুগোপযোগী আইন যেনো করা হয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। যিনি ক্ষমতায় আসার পরে আমরা যখন তার সঙ্গে কথা বলি উনি কিন্তু এর যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। অনেকে বলেন এতদিন লাগলো কেন। আমি আপনাদের শুধু অবগতির জন্য বলে রাখি, বাংলাদেশ ২০০৬ সালের শ্রম আইন হয়েছিল। এই শ্রম আইন তৈরি করতে সময় লেগেছিল ১২ বছর। আর সংশোধন করতে লেগেছিল পাঁচ বছর। এ ১৭ বছরে শ্রম আইন কে সংশোধন করে এই পর্যায়ে আনতে হয়েছে। সেখানে আমি মনে করি তার অর্ধেক সময় লেগেছে সড়ক পরিবহন আইন করতে। এখন আমরা মনে করি যে যে জায়গাগুলো সংশোধন করা প্রয়োজন সরকার যদি সেগুলো যুক্তিসংগত মনে করে সংশোধন করে তবে আমরা মেনে নেব। আর সরকার যদি মনে করে সংশোধন প্রয়োজন নেই আর সেটা যদি আমরা মনে করি আসলেই প্রয়োজন নেই তাহলে আমরা সেটা মেনে নেব। এক্ষেত্রে আমরা বলব না যে আমরা আন্দোলন ধর্মঘট করব।
তিনি আরো বলেন, আমরা জেলের ব্যাপারে কোন আপত্তি করিনি। আমরা শুধু বলেছি জরিমানার ব্যাপারটা। আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে। আমরা শুধু বলেছি আইনটিতে এমন অনেক ছোটখাটো বিষয় রয়েছে যেগুলো পুলিশ এবং বিআরটিএ বসে সমাধান করতে পারবে। এ বিষয়গুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয় তাদেরকে বলে দিয়েছেন যে তারা বিষয়টি যেন বিবেচনা করে। সুতরাং আমরা কিন্তু ধর্মঘট ডাকিনি। ধর্মঘট করা আমাদের পেশা নয়। আন্দোলন করা আমাদের পেশা নয়। আমরা যখন বিপদগ্রস্ত হই তখন কথা বলি। তখন যদি সরকার য়ামাদের কথা না শুনে, বাধ্য হয়ে আমাদের  আন্দোলনের  কর্মসূচি দিতে হয়। ধর্মঘট করার মতো কোনো ইচ্ছা আমাদের নাই। আজকেও আমরা কোনো কর্মসূচি দিচ্ছি না। আমরা শুধু বলছি যে, ৩০ জুনের মধ্যে যেন আইনটি সংশোধন করা হয়। কিন্তু এসময়ের মধ্যে যদি না হয় তাহলে আমরা পরবর্তীতে কর্মসূচি ঘোষণা করবো।

 

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচ/একেএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন