বিজ্ঞাপন

বটতলা রঙ্গমেলা’র আজ শেষ দিন

November 26, 2019 | 5:08 pm

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট

দেশ বিদেশের নাটকের দল, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাণ- প্রকৃতির পক্ষের গানের দল এবং নাট্যাঙ্গনের ভিন্ন ভিন্ন বিভাগের সকল মানুষকে যুক্ত করে আগারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বেশ সফলভাবেই শেষ হতে চলছে বটতলা রঙ্গমেলা ২০১৯ আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব। আজ (মঙ্গলবার) এই আয়োজনের শেষ দিন।

বিজ্ঞাপন

আজ রঙ্গমঞ্চে (মুল মিলনায়তন) সন্ধ্যা ৭ টায় ‘বটতলা আজীবন সম্মাননা ২০১৯’-এ সম্মানিত হবেন অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্দেশক নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ।

এছাড়াও একই মঞ্চে আজ পরিবেশিত হবে বটতলা’র নিজস্ব প্রযোজনা নাটক ‘খনা’। যার নাট্যকার সামিনা লুৎফা নিত্রা ও নির্দেশক মোহাম্মদ আলী হায়দার।

বহিরাঙ্গনের নাদিম মঞ্চে পারফরমেন্স আর্ট ‘ছায়া’। পরিবেশনায় কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগ। আজকের তথ্যচিত্র ‘মঞ্চসারথীঃ আতাউর রহমান’। যার পান্ডুলিপি ও নির্মাতা আখতারুল ইসলাম জিন্‌নাহ্‌।

বিজ্ঞাপন

আজ আরো থাকছে আশিস গোস্বামীর সঞ্চালনায় বটতলার আলাপ- ৫। এতে আলোচক অসিত বসু ও কামালুদ্দিন কবির। সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক শফি আহমেদ। আজকের বিষয়- ‘নৃশংস নৈঃশব্দ কালে সুনন্দ সাহসের থিয়েটার’।

১১ দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক এই নাট্যোৎসবে প্রতিদিন ‘মূল রঙ্গমঞ্চে’ বটতলাসহ বাংলাদেশের ২টি ও বিদেশের ৮টি দল তাদের নাটক পরিবেশন করছে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, স্পেন, ইরান ও নেপাল। প্রতিদিন বহিরাঙ্গনে ‘নাদিম মঞ্চে’ ছিল নাটক, গান, পারফরমেন্স আর্ট, কবিতা, মূকাভিনয়, নাচসহ বিভিন্ন আনন্দ আয়োজন। এবার বটতলার আয়োজনে ‘হৃদয়ঙ্গম ঋদ্ধ মঞ্চে’ শিশুদের প্রহর ছিল ২ দিন। ২২ ও ২৩ নভেম্বর। শিশুদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল নাটক, পুতুল নাচ, আর্ট ক্যাম্প।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও ছিল আরেকটি ভিন্ন আয়োজন ‘মাস্টার ক্লাস’। উৎসবের ৫ দিনে ৫টি তথ্যচিত্র। এগুলো হলো – তাপস সেনের উপর নির্মিত তথ্যচিত্র ‘লেট দেয়ার বি লাইট’; ফেরদৌসী মজুমদারের উপর নির্মিত তথ্যচিত্র ‘ফেরদৌসী মজুমদার – জীবন ও অভিনয়’, ‘বিহাইন্ড দ্য কার্টেন– এ জার্নি উইথ বিভাস চক্রবর্তী’, অধ্যাপক সৈয়দ জামিল আহমেদ এর উপর নির্মিত ‘দ্য কনজ্যুরর’ এবং নাট্যজন জনাব আতাউর রহমানের উপর নির্মিত তথ্যচিত্র ‘মঞ্চসারথী’।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নাটকের ভেন্যু হিসেবে একদমই নতুন। আয়োজকদের প্রত্যাশা ছিল এই নাট্যোৎসবের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরেও জমে উঠবে প্রাণের মেলা, শিল্প সংস্কৃতির অঙ্গন হিসেবে মুখরিত হবে এর চারপাশ। সে প্রত্যাশা যেন অনেকটাই পুর্ন হয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য নাট্যর্কমী ও দর্শকদের পদচারনায় র্পূণ হয়ে উঠেছে মিলনায়তন ও এর আশপাশ।

সারাবাংলা/এএসজি/

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন