বিজ্ঞাপন

যা আছে হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায়ে

November 27, 2019 | 12:55 pm

সারাবাংলা টিম

গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার প্রায় তিন বছর পাঁচ মাস পর ওই হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। আলোচিত এই মামলায় অভিযুক্ত আট আসামির মধ্যে সাত জনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ৬(২) (অ) ধারায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আরেক আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা, ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ড, একজন খালাস

লিখিত রায়টিতে যা আছে

বিজ্ঞাপন

মামলার অভিযুক্ত আসামি জাহাংগীর হোসেন, আসলাম হোসেন র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগেন, মো, আব্দুস সবুর খান, শরিফুল ইসলাম খালেন ও মামুনুর রশিদ রিপনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ৬(২) (অ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হলো এবং তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো।

এছাড়া আসামি জাহাংগীর হোসেন, আসলাম হোসেন র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগেন, মো. আব্দুস সবুর খান এবং শরিফুল ইসলাম খালেদকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

আসামি জাহাংগীর হোসেন, আসলাম হোসেন র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগেন, মো, আব্দুস সবুর খান, শরিফুল ইসলাম খালেন ও মামুনুর রশিদ রিপনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ৮/৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হলো এবং ওই আইনের ৮ ধারায় প্রত্যেককে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং আইনের ৯ ধারায় প্রত্যেককে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে একবছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

বিজ্ঞাপন

আসামি মামুনুর রশিদ রিপনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ৭ ধারার অভিযোগ, আসামি মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ৬(২) (অ)/৭/৮/৯/১০/১১/১২/১৩ ধারার অভিযোগ এবং জাহাংগীর হোসেন, আসলাম হোসেন র‌্যাশ, আব্দুস সবুর খান, মো. হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগেন, শরিফুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ১০/১১/১২/১৩ ধারার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হলো।

রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫এ ধারামতে আসামিদের বিচারকালীন হাজতবাস দণ্ডাদেশ থেকে কর্তন করা হবে। দণ্ডপ্রাপ্ত হাজতি আসামিদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করার নির্দেশও দেওয়া হয়। পাশাপাশি জব্দ করা অস্ত্রগুলো রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত এবং ধ্বংসযোগ্য আলামত বিধি অনুযায়ী নষ্ট করার নির্দেশও দেওয়া হয়।

রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদনের জন্য মামলার নথি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে পাঠানোর পাশাপাশি রায়ের অনুলিপি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকা ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকা বরাবর পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এই মামলার চার্জশিটে মোট ২১ জন আসামির নাম ছিল। এর মধ্যে হামলায় সশরীরে অংশ নেওয়া পাঁচ জন হামলার পর বিশেষ কমান্ডো টিমের অভিযানে মারা যান। পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মারা যান আরও আট জন। এই ১৩ জনকে মামলার চার্জশিটে অব্যাহতি দিয়ে বাকি আট জনকে আসামি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন-

নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা নিম্ন আদালত

৮ আসামিকে আদালতে নেওয়া হয়েছে

‘পুলিশের সক্ষমতা বাড়ায় কোণঠাসা জঙ্গিরা’

৫২ কার্যদিবস শেষে হলি আর্টিজান মামলার রায়

যেভাবে রায়ের পর্যায়ে পৌঁছালো হলি আর্টিজান মামলা

সারাবাংলা/এআই/এজেডকে/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন