বিজ্ঞাপন

‘৮২টি রোগের জীবাণু প্রতিরোধ সম্ভব হচ্ছে না’

November 28, 2019 | 5:43 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগ করেও ৮২টি রোগের জীবাণু প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। অর্থাৎ এই ৮২টি রোগের জীবাণু বাংলাদেশে রেজিস্ট্যান্ট বা এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সে পরিণত হয়েছে। ফলে এসব রোগের চিকিৎসা কঠিন বা অসম্ভব হয়ে উঠছে বলে জানানো হয়েছে এক গবেষণায়।

বিজ্ঞাপন

দেশের ১৫০টি ফার্মাসিউটিক্যালসের ওষুধ নিয়ে গবেষণা করে এ তথ্য বেরা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় এই গবেষণা সম্পন্ন করেন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

সেমিনারে অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান গবেষণা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, রেজিস্ট্যান্সির শীর্ষ তালিকাতে আছে, সিপ্রোফ্লক্সাসিন (২১ শতাংশ), অ্যামক্সিসিলিন (১৬.৫ শতাংশ), অ্যাজিথ্রোমাইসিন (১৪ শতাংশ), সেফালোস্ফোরিন (১৩.৩ শতাংশ), মেট্রোনিডাজল (১২.৮ শতাংশ), ফিনক্সি মিথাইল পেনিসিলিন (৯.৩ শতাংশ), ক্লোক্সাসিলিন/ফ্লুক্লক্সাসিন (৬.৫ শতাংশ), অ্যাজল অ্যান্টিফাঙ্গাল (৫ শতাংশ) এবং অন্যান্য (৫.৩ শতাংশ)।

বিজ্ঞাপন

সাধারণ সংক্রমণজনিত রোগব্যাধির চিকিৎসা থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের অপারেশন, এমনকি ক্যান্সার চিকিংসাও অনেকখানি সহজ ও সফল হয়ে উঠেছিল অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের আবিষ্কারের ফলে। কিন্তু রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার উদ্ভবের ফলে এসব রোগের চিকিৎসা কঠিন বা অসম্ভব হয়ে উঠছে বলে জানানো হয় সেমিনারে।

সেমিনারে আরও বলা হয়, বিশ্বে যে কয়টি স্বাস্থ্যঝুঁকি বর্তমানে মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তার মধ্যে অন্যতম। এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের কার্যকারিতা হারানোর ঘটনাকে নীরব মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

এছাড়াও পশু ও মুরগি পালন, মৎস্য চাষ, কৃষিকাজসহ বিভিন্ন খাতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারে অবস্থা আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এ মুহূর্তে পৃথিবীতে যে পরিমাণ এন্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহৃত হচ্ছে, এর শতকরা ৭০ ভাগই মানুষ ছাড়া অন্যান্য খাতে।

বিজ্ঞাপন

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মো. মাহবুবুর রহমানসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অধিদফতরের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন