বিজ্ঞাপন

‘জমিদার’ ভাবা ওসিদের জন্য এ রায় অশনি সংকেত

November 28, 2019 | 4:10 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: যেসব ওসিরা পুলিশ স্টেশনকে জমিদার বাড়ি মনে করেন এবং নিজেদের আচরণও জমিদারের মতো। তাদের জন্য ওসি মোয়াজ্জেমের সাজার রায় অশনি সংকেত বলে মন্তব্য করেছেন এ মামলার বাদি ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর অভিযোগে সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার রায়ের পর সাংবাদিকদের এ প্রতিক্রিয়া জানান ব্যারিস্টার সুমন।

বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন আদালত ওসি মোয়াজ্জেমের ৮ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সোনাগাজী থানার তৎকালীন ওসি অন্যায়ভাবে নুসরাতের ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে আদালত তাকে আট বছরের সাজা দিয়েছেন এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ, কারণ নুসরাত নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনি আমাদের সাহস দিয়েছিলেন। যার ফলে সফলতার সঙ্গে আমরা মামলাটি শেষ করতে পেরেছি। তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ধন্যবাদ, তাদের সুন্দর একটি তদন্তের জন্য আমরা ন্যয়বিচার পেয়েছি।

বিজ্ঞাপন

‘সারাদেশে পুলিশ স্টেশনগুলোকে যেসব ওসিরা জমিদার বাড়ি মনে করেন এবং যেসব ওসিদের আচরণও জমিদারের মতো এ রায় তাদের জন্য অশনি সংকেত। এ রায়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হলো পুলিশের বিরুদ্ধে বিচার পাওয়া সম্ভব। যারা পুলিশের পোশাক পড়ে দম্ভোক্তি করে এবং ক্ষমতা দেখায় তাদের জন্য এই রায় আতঙ্ক হয়ে থাকবে।’ যোগ করেন ব্যারিস্টার সুমন।

আদালতের পর্যবেক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিডিওতে দেখা গেছে নুসরাত তার নেকাব খুলতে চায়নি এবং ভিডিওতে নুসরাত বার বার মুখ দিয়ে নিজেকে আড়াল করতে চাইছিলেন। এ থেকে বোঝা যায়, নুসরাত ভিডিওর বিষয়ে কনসার্ন ছিলেন না। সেক্সুয়াল হেরেজমেন্টের বিষয়ে অভিযোগ করতে এসে থানায় আবারো নুসরাত সেক্সুয়াল হেরেজমেন্টের শিকার হয়েছেন।

ওসি হিসেবে মোয়াজ্জেমের যে দায়িত্ব, তিনি সে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। এজন্য আদালত তার সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/জেএএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন