বিজ্ঞাপন

আ. লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন কিছুক্ষণের মধ্যে

November 30, 2019 | 10:43 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজপথের ভ্যানগার্ড খ্যাত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন আজ। উত্তর-দক্ষিণ দুই শাখায় বিভক্ত হওয়ার পর মহানগরে প্রথম এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বিশাল নৌকা আকৃতির মঞ্চে শনিবার (১১টায়) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে এই সম্মেলন। জাতীয় সংগীতের সুরে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাত। মূল মঞ্চের প্রথম সারিতে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য আসন রয়েছে। পিছনের সারিতে মহানগরের অন্যান্য নেতারা আসনে বসেছেন।

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন। তবে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ও শৃংখলার স্বার্থে সম্মেলন প্রবেশের গেটগুলোতে ধীরগতি রয়েছে। যে কারণে মঞ্চ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বেশ কয়েকজনের আমলনামা দলীয় সভাপতির কাছে জমা পড়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণে সভাপতি পদে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণের (ডিএসসিসি) ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু আহমেদ মান্নাফি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা-৭ ডিএসসিসির ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি হুমায়ুন কবির এবং যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন মনু। এছাড়া সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামও সভাপতি পদের জন্য আলোচনায় আছেন বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

তবে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. কাজী মোর্শেদ হোসেন কামালের নামও আলোচনায় রয়েছে। তিনি সাবেক বৃহত্তর ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ডিএসসিসির ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর বিন আজিজ ওরফে তামিম আজিজ সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের পুত্র।

এদিকে আসন্ন সম্মেলনে উত্তরের সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান কমিটির সহসভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাদের খান। তারা দুজনেই সভাপতি পদ প্রত্যাশী। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এসএ মান্নান কচি। তিনি অবিভক্ত ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান কমিটির দফতর সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ উত্তরের সাবেক সভাপতি এম. সাইফুল্লাহ সাইফুল। এর বাইরেও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল বাশারও মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরে প্রার্থী হিসাবে আলোচনায় রয়েছেন।

২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের দীর্ঘদিন পরও কমিটি দিতে না পারায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাককে দক্ষিণ এবং কর্নেল (অব.) ফারুক খানকে উত্তরের কমিটি সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

পরে সম্মেলনের সাড়ে তিন বছরের মাথায় ২০১৬ সালে ১০ এপ্রিল প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মহানগর উত্তরে এ কে এম রহমত উল্লাহকে সভাপতি ও সাদেক খানকে সাধারণ সম্পাদক এবং দক্ষিণে আবুল হাসনাতকে সভাপতি ও মো. শাহে আলম মুরাদকে সাধারণ সম্পাদক করে ঢাকার দুই অংশে কমিটি দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ভেঙে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ নামে দুটি কমিটি হয়। একইসঙ্গে ঢাকা মহানগরের ৪৯টি থানা ও ১০৩টি ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামও ঘোষণা করা হয়। তিন বছর মেয়াদী মহানগর আওয়ামী লীগের দুই অংশের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এবার দেখার পালা কে কে আসছেন মহানগরের নতুন নেতৃত্বে।

সারাবাংলা/এনআর/জেএএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন