ইসির দুর্নীতি তদন্তের দাবি বিএনপির

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের দুর্নীতির তদন্ত দাবি করেছে বিএনপি। শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে গুলশানে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি করেন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশন বিভক্ত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সচিব এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে লোক নিয়োগ দিচ্ছেন, যেটা সংবিধানের পরিপন্থী। কারণ, কমিশনের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেটা তারা করছেন না।’

‘এখন যেটা মনে হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনেরও দুর্নীতির তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ, সেখানে যা ঘটছে সেটা সম্পূর্ণভাবে দুর্নীতি। আমরা মনে করি- দুর্নীতি কমিশনের অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের দুর্নীতি খুঁজে বের করার জন্য কাজ করা দরকার’— বলেন মির্জা ফখরুল।

বিদেশে নারী কর্মীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি, ‘বিদেশে আমাদের শ্রমিকরা বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। তাদেরকে ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, অনেক সময় শ্লীলতাহানি করা হচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষ তাদেরকে হত্যা পর্যন্ত করা হচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ বিষয়ে যে ভূমিকা পালন করা দরকার, সরকার সেই ভূমিকা পালন করতে পারছে না। আমরা মনে করি এটা চরম ব্যর্থতা। কারণ, প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। এ বিষয়ে কমিশন গঠন করে সমস্যা সমাধানের আহবান জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি হয়েছে সে সম্পর্কে জানতে চেয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছিলাম। আমরা ৭ দিনের অতিরিক্ত সময় অপেক্ষা করেছি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে কোনো রেসপন্স পাই নাই। সেই কারণে আমাদের পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা এখন তথ্য অধিকার আইনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই চুক্তিগুলো সম্পর্কে জানার জন্য চিঠি দেব। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে আমরা এই চিঠি পাঠানোর ব্যবস্থা করব।

মির্জা ফখরুল জানান, বৈঠকে দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি, ভারতে নাগরিক পুঞ্জি, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে আগামী ৩ ডিসেম্বর ও ভারতের নাগরিক-পুঞ্জির ফলে পুশব্যাক সম্পর্কে আগামী ৭ নভেম্বর বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করবে। এছাড়া সারাদেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা নিয়ে শিগগিরই একটি সেমিনার করার হবে।

বিএনপির ৫০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি একটি সংগঠনের প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে সিনিয়র লিডারসহ প্রায় ৫‘শ লোকের বিরুদ্ধে একটা মামলা হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে জামিন পেয়েছি। এই মামলায় সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে তাদেরকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে এ মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরুদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান।

সারাবাংলা/এজেড/এসবি