বিজ্ঞাপন

যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনই সেরা

December 3, 2019 | 3:35 pm

মহিবুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

দরজায় কড়া নাড়ছে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। আর মাত্র দিন চারেক বাদে মিরপুর শের-ই-বাংলায় জমকালো উদ্ধোধনের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠবে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচাইতে জাঁকজমকপূর্ণ এই আসরের। এর দুই দিন বাদে মাঠে গড়াবে ম্যাচ। এমতাবস্থায় অনেকের মনেই প্রশ্নের উদ্রেক হতে পারে, এবারের আসরে সেরা দল গড়ছে কারা? সাত দলের মধ্যে কোন দল শিরোপা জয়ে এগিয়ে? এমন অনুসন্ধিৎসু মনের ক্রিকেট প্রেমিদের জন্য উত্তর হলো, সেই দলটি যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনস: অভিজ্ঞতাই হবে ট্রাম্পকার্ড

ভাবছেন কিসের ভিত্তিতে বলছি? সব বাদ দিন। শুধু আগে একবার দলটি দেখে নিন।

বিজ্ঞাপন

যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনের ব্যাটিংয়ের গুরু দায়িত্ব সামলাতে ওপেনিংয়ে আছেন; বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। আছেন অভিজ্ঞ এনামুল হক বিজয়। টপ অর্ডার সামলাবেন মুমিনুল হক ও ইংলিশ লরি ইভানস। মিডল অর্ডার তো আরো ক্ষুরধার! লঙ্কান অল রাউন্ডার থিসারা পেরেরার সঙ্গী হিসেবে থাকবেন বুমবুম আফ্রিদি ও রকিবুল হাসান। লোয়ার মিডল অর্ডারেও কম যাবে না যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন। মিডল অর্ডার কোনো কারণে ব্যর্থ হলে শুভাগত হোম, হার্ড হিটার আরিফুল হক ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাকির আলীর ব্যাটে ভরসা রাখতেই পারে ঢাকা।

বোলিং সাইডই বা কম কিসে? পেস ও স্পিনের মিশেলে এক অসাধারণ বোলিং কম্বিনেশন দেখা যাবে তাতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নেই। এই বিভাগে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন দেশ সেরা ও নতুন বলে উইকেট শিকারে সিদ্ধহস্ত পেসার মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা। তার সঙ্গী হিসেবে দেখা যাবে অভিজ্ঞ পাকিস্তানি পেসার ওহাব রিয়াজ ও হাসান মাহমুদকে। থিসারা পেরেরা তো আছেনই।

বিজ্ঞাপন

আর স্পিন বিভাগের দায়িত্ব সামলাবেন শহীদ আফ্রিদি, মেহেদি হাসান ও শুভাগত হোমের মতো ঘূর্ণি যাদুকরেরা।

পেসার হাসান মাহমুদ সম্পর্কে অনেকেই হয়ত অবগত নন। তাই তার সম্পর্কে বলে রাখাটা অবশ্য প্রয়োজনীয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গেল মৌসুমে বল হাতে দারুণ সক্ষমতা দেখিয়েছেন খেলাঘর সমাজ কল্যানের এই মিডিয়াম পেসার। তাছাড়া সদ্য সমাপ্ত ইমার্জিং এশিয়া কাপে তার বলেই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ফাইনালের ওঠার পথ মসৃণ হয়েছে। চার ম্যাচে তার শিকার ছিল ৭টি।

যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন তো তাকেই বাজির ঘোড়া হিসেবে ধরেছেন। ‘হাসান মাহমুদরে আমি দুই বছর আগে দেখছি। এরমধ্যে কিন্তু আমি আর দেখিনি সেভাবে। আমার কাছে মনে হয়েছে ছেলেটার বলে জোর আছে, বাউন্স আছে, কাট আছে। সবচেয়ে বড় কথা উইকেট থেকে বাউন্স আদায়ের ক্ষমতা আছে তার, আমার কাছে মনে হলো সে প্রমিজিং স্টার। তাঁকে যদি আমরা ঠিকভাবে যত্ন করতে পারি অদূর ভবিষ্যতে সে বাংলাদেশকে সার্ভিস দিতে পারবে।‘

বিজ্ঞাপন

শুধু ব্যাটিং, বোলিং সক্ষমতাই নয় অভিজ্ঞতার বিচারেও বাকি ৬ দলের চাইতে সেরা ঢাকা। কেন বলছি? মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা, তামিম ইকবাল, শহীদ আফ্রিদি, থিসারা পেরেরা এবং ওয়াহাব রিয়াজরা টুর্নামেন্টের অন্যান্যদের তুলনায় এত বেশি ফ্র্যাঞ্চিইজি টুর্নামেন্ট খেলেছেন যে একটি ম্যাচের রং কত রকমের হয় তা তাদের নখোদর্পণে। যে কোনো অবস্থা থেকে ম্যাচ বের করে আনার দুর্দান্ত সামর্থ্য তারা রাখেন। তার প্রমান বিভিন্ন টুর্নামেন্টে তারা দিয়েছেনও। কাজেই তাদের কাঁধে ঢাকা প্লাটুন ভরসা রাখতেই পারে।

আর অধিনায়ক যদি হন মাশিরাফি! তাহলে তো কথাই নেই। বিপিএলের ৬ আসরের চারটি শিরোপাই যার দখলে এবারেরটিও যে আসবে না তার নিশ্চয়তা কি? মাশরাফি তো মাশরাফিই তাই না?

সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন