বিজ্ঞাপন

‘আমরা আর কত অপেক্ষা করব?’

December 4, 2019 | 1:13 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আমরা আর কত অপেক্ষা করব? দাবি আদায়ের জন্য সংসদ, আর না হলে রাজপথ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বেগম খালেদা জিয়ার মামলার শুনানিতে কী হয় দেখব। তার পর যা করণীয়, তাই করব।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

খালেদা জিয়ার জামিন না হলে বিএনপি এক দফার আন্দোলনে যাবে কি না?— এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সব কিছুই যদি এখন বলে দেই, তাহলে পরে বলব কী? অপেক্ষায় থাকুন, সব জানতে পারবেন।’

এর আগে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের আস্থার প্রতীক, জনগণের প্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে ৬৬৫ দিন হলো অবৈধ ক্ষমতার জোরে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আইন-আদালত, ন্যায় বিচার, সংবিধান, মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার, বয়স, অসুস্থতাসহ সকল বিবেচনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়া আইনগত অধিকার।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘দেশ-বিদেশের আইনজ্ঞরা বলছেন, এই মামলায় জামিন না পাওয়া বিস্ময়কর। তিনি নিশ্চিতভাবেই জামিনের হকদার। গোটা বাংলাদেশের মানুষ অব্যাহতভাবে দাবি জানাচ্ছে তাঁর জামিনের। অথচ স্বাভাবিক এই জামিন নিয়ে কত রকমের টালবাহানা হচ্ছে! সরকার দলীয় লোকেরা প্রকাশ্যে হুমকি ও ঘোষণা দিয়ে জামিনে বাধা দিচ্ছে।

খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে হত্যার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি করবেন। আগামীকালের মধ্যে তাঁর শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদন দিতে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ৭৫ বছর বয়সী দেশনেত্রীর স্বাস্থ্যের অবস্থা এত ভয়ঙ্কর যে, এই মুহূর্তে তাঁকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা না হলে জীবনহানির চরম ঝুঁকি রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সুচিকিৎসার অভাবে তার যে ড্যামেজ হচ্ছে, সেটা আর ফিরে আসবে না। তার বাম হাত ও শরীরের বাম দিক প্রায় প্যারালাইজড হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কারও সাহায্য ছাড়া তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারেন না। তার এই গুরুতর অসুস্থতায় দেশবাসী উদ্বিগ্ন। তারা মনে করে, দেশনেত্রীকে শারীরিক ক্ষতির দিকে ঠেলে দেওয়ার পেছনে সরকারের অশুভ পরিকল্পনা রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

রিজভী বলেন, ‘দেশনেত্রীকে নিয়ে সরকারের অশুভ ষড়যন্ত্রের আরেকটি প্রমাণ হলো- গত ২৫ দিন ধরে তার সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটি জেলকোডের চরম লঙ্ঘন। এর মাধ্যমে বিধি-বিধানকে উপেক্ষা করে প্রতিহিংসার বিধানকেই চরিতার্থ করা হচ্ছে। গত ১৩ নভেম্বরের পর থেকে আর সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। আমরা বর্তমানে তার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে চরম আশঙ্কায় দিনাতিপাত করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি- উচ্চ আদালত থেকে দেশনেত্রী ন্যায়বিচার পাবেন। বেগম খালেদা জিয়া দেশের সিনিয়র সিটিজেন, চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধীদলীয় নেতা ও দেশের জনপ্রিয় শীর্ষ রাজনীতিবিদ। তিনি গুরুতর অসুস্থ, তাই তাঁর জামিন পাওয়া ন্যায়সঙ্গত অধিকার। এর আগে এধরনের মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অনেকেই জামিন পেয়েছেন। সেটির অসংখ্য নজিরও রয়েছে। গোটা জাতি আগামীকাল দেশনেত্রীর জামিনের বিষয়ে উচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ঢাকা মহানগরের (উত্তর) সভাপতি ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলাম টিপু, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, ড্যাবের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. মো. আবদুস সেলিম, ড্যাব ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ডা. মাসুম বিল্লাহ, ডা. গালিব প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন