বিজ্ঞাপন

‘আজকে একটাই আইটেম, খালেদা জিয়া’

December 5, 2019 | 12:00 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দ্বিতীয় দফায় আদালতের কার্যক্রম শুরু হলেও বিএনপি’র আইনজীবীরা চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ছাড়া অন্য মামলার শুনানিতে বাধা দিচ্ছেন। তবে, আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) তারা জিয়া চ্যারিটেবল মামলার শুনানি শুনবেন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় আবারো আদালত বসলেও কার্যক্রমে বাধা দেন বিএনপি’র আইনজীবীরা।

এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহাবুবউদ্দিন খোকন বলেন, আগামি রোববার বা সোমবার তারিখ দিতে বলেন। কিন্তু আদালত বলেন, না বৃহস্পতিবারই তারিখ। এ সময় অন্য মামলা শুনতে চাইলে বিএনপির আইনজীবীরা আবারও হট্টগোল শুরু করেন।

এ সময় তারা বলেন, আজকে একটাই আইটেম, খালেদা জিয়া। পরে নয় নম্বর আইটেম শুরু করতে চাইলে বিএনপির আইনজীবীরা তাতে বাধা দেন।

বিজ্ঞাপন

তবে ৯ নম্বর মামলার শুনানি করেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি। এ সময় আদালতের দুদিকে অবস্থান নেন বিএনপিপন্থী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। এই শুনানির মাঝেই বিএনপি’র আইনজীবীরা তার শুনানি বাধাগ্রস্ত করতে উই ওয়ান্ট জাস্টিস বলে শ্লোগান দিতে থাকেন। আদালতের ম্যানার ভেঙ্গে স্লোগান দেন এবং বেঞ্চ চাপড়ান তারা। ফলে দ্বিতীয় দফায়ও থমকে যায় বিচারকাজ।

এর মাঝে বিএনপির সিনিয়র আইনজীবীরা কোর্ট থেকে বের হয়ে যেতে চাইলেও জুনিয়রদের বাধায় তারা যেতে পারেননি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়।

বিজ্ঞাপন

শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মেডিকেল রিপোর্ট এবং শুনানির জন্য দুই সপ্তাহ সময় চান আদালতের কাছে। আদালত আগামী ১১ ডিসেম্বর মধ্যে মেডিকেল রিপোর্ট দাখিল এবং শুনানির জন্য ১২ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দেন।

এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বৃহস্পতিবারের (৫ ডিসেম্বর) মধ্যেই শুনানি করতে চাইলে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উচ্চবাচ্য শুরু হয়। জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা খুবই খারাপ, আগে তার জামিন দেন, প্রয়োজনে শুনানি পরে হোক।

তখন আদালত জানান আগামি বৃহস্পতিবার শুনবেন। এরপর বিএনপির আইনজীবীরা কোর্টে আবার উচ্চবাচ্য শুরু করেন।

কয়েক মিনিট ধরে এই অবস্থা চলার পর আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতিসহ ছয় জন বিচারপতি এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান। এ সময় আদালতে উপস্থিত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা শেইম শেইম বলে চিৎকার করতে থাকেন।

বিজ্ঞাপন

আদালত উঠে গেলেও আইনজীবীরা কেউ কারও জায়গা ছাড়েননি, যে যার জায়গায় বসে থাকেন। বন্ধ হয়ে যায় বিচারিক কাজ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

এছাড়া খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দীন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, এ জে মোহাম্মদ আলী, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বিএনপির শতাধিক আইনজীবী।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আকতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়া ছাড়া অপর তিন আসামিকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করলে ৩০ এপ্রিল তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

সারাবাংলা/এজেড/জেএএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন