বিজ্ঞাপন

চীন-ভারত-জাপান রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পক্ষে: টিআইবি

December 5, 2019 | 4:17 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন-জাপান-ভারত মিয়ানমারের পক্ষে রয়েছে বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর উদ্যোগে ‘বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের (রোহিঙ্গা) নাগরিকদের বাংলাদেশে অবস্থান: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এই কাজের গবেষণা উপদেষ্টা ছিলেন।

গবেষণা প্রতিবেদনে টিআইবি জানায়—রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অংশীজনের ভূমিকার ঘাটতি রয়েছে। এ সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের ক্ষেত্রে চীন, ভারত ও জাপানের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই তিনটি দেশ বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবেও পরিচিত। কিন্তু বিভিন্ন স্বার্থসম্পর্কিত কারণে এই তিনটি দেশই মিয়ানমারের পক্ষে ভূমিকা পালন করে। ফলে এ সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি কার্যত বাধাগ্রস্ত হয়।

বিজ্ঞাপন

গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর ‘অ্যারেঞ্জমেন্ট অন রিটার্ন অব ডিসপ্লেসড পার্সন্স ফ্রম রাখাইন স্টেট’ ও ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ৩০ দফা ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ শীর্ষক চুক্তি স্বাক্ষর করে। কিন্তু ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর এবং ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।’

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট উৎপত্তির মূল কারণ মিয়ানমার সরকারের অভ্যন্তরীণ সুশাসন নিশ্চিত করায় ব্যর্থতা। ফলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রাথমিক দায়-দায়িত্বও মিয়ানমার সরকারের ওপর বর্তায়। মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের কোনো কার্যকর উদ্যোগ অর্থাৎ প্রত্যাবাসন বিষয়ে মিয়ানমার সরকার কর্তৃক উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়নি। ফলে রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রত্যাবাসনের আস্থা সৃষ্টি হয়নি। অপরদিকে, প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অংশীজনের ভূমিকার ঘাটতি রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের ক্ষেত্রে চীন, ভারত ও জাপানের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই তিনটি দেশ বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবেও পরিচিত। কিন্তু বিভিন্ন স্বার্থসম্পর্কিত কারণে এই তিনটি দেশই মিয়ানমারের পক্ষে ভূমিকা পালন করে, ফলে এ সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি কার্যত বাধাগ্রস্ত হয়।’

বিজ্ঞাপন

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অবস্থান দীর্ঘায়িত হওয়ায় স্থানীয় ও জাতীয়ভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষত অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত ও নিরাপত্তা/রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বহুমুখী প্রভাব ও ঝুঁকি বিদ্যমান।’

সারাবাংলা/জেআইএল/একে

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন